তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসের পেছনের কলাবাগন থেকে বোমা উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য
তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসের পেছনে তিনশো মিটার অদূরে বোমা উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার দুপুরে মালদা জেলার চাঁচল থানার মহানন্দাপূর পঞ্চায়েত অফিসের পেছনের ঘটনা। এলাকার মাঠের পথ ধারে কলাবাগানে তুষ ভর্তি ব্যাগ পড়ে থাকতে বাসিন্দারা এবং ব্যাগের পাশেই বেরিয়ে রয়েছে একটি বোমা। খবর পেয়ে চাঁচল থানার আই.সি সুকুমার ঘোষের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।মালদা থেকে বোমস্কোয়াড রওনা দিয়েছে। দিনদুপুরে এমনঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে মহানন্দাপুর এলাকায়। উল্লেখ্য, দুমাস আগেই মহানন্দপুর পঞ্চায়েত অনাস্থা আনে তৃণমূল কংগ্রেস।কংগ্রেসকে হাটিয়ে পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল। অনাস্থার সময় নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করার জন্যই বোমা মজুত করেছিল শাসক-বিরোধীরা, না অন্য কারন, কারা বোমা রাখলো, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মূলত, দুমাস আগে মহানন্দাপুর পঞ্চায়েত অনাস্থায় কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতায় বসে তৃণমূল। আর এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে কংগ্রেস-তৃণমূলের রাজনৈতিক চাপানউতোর। টিএমসিপির চাঁচল-১ নং ব্লক সহসভাপতি রবিউল ইসলামের অভিযোগ,বিরোধী হিসেবে কংগ্রেস পঞ্চায়েতে থাকার চেষ্টা করছিল। নিজের ভীত মজবুত করার জন্যই বিরোধীরা এই চক্রান্ত চালিয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। পাল্টা বক্তব্যে চাঁচল-১ নং ব্লক কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কাজি আতাউর রহমান বলেন,পঞ্চায়েত আপাতত তৃণমূলের দখলে রয়েছে।নতুন বোর্ড গড়ার সময় পদ পাওয়ার জন্য তৃণমূলের লোকেরাই বোমা মজুত করেছে।রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব।মহানন্দপুরেও সেটা প্রকাশ্যে। ওরা নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপাচ্ছে।
