ধনিয়াখালী থানা লক আপে ২০১৩ সালের ১৯ জানুয়ারী তৃনমূলকর্মি কাজি নাসিরুদ্দিনকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ।সেই ঘটনা ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাই পুলিশি তদন্তে আস্থা ছিল না নাসিরুদ্দিনের স্ত্রীর।আদালতে আবেদন করেন সিবিআই তদন্তের।
সিবিআই ঘটনার তদন্ত করে।কিন্তু সেই তদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট।সিবিআই নিম্ন আদালতে যে চার্জশিট জমা দেয় তাতে সবকটি ধারাই ছিল জামিন যোগ্য।হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে কেন ৩০৪ এর এ ধারা দেওয়া হয়েছে।৩০৪ এর পার্ট ২ দিতে হবে।অর্থাৎ অনিচ্ছাকৃত খুন কিন্তু জ্ঞানত।
জামিন যোগ্য ধারায় চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই,তাই নিম্ন আদালতে চার্জ ফ্রেম হয় জামিন যোগ্য ধারাতেই।এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী মানুজা বিবি।হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ হুগলি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন ধারা ৩০৪ এর পার্ট ২ যুক্ত করতে হবে।এবং সেটা হবে হুগলি জেলা সেশান আদালতে।
আজ মানুজা বিবির আইনজীবী প্রতীম সিংহরায় আদালতে পিটিশান ফাইল করেন।অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে তবে সেশান বিচারকের কাছে পাঠানো হোক।অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে মামলার ট্রায়াল শুরুর আবেদন করেন প্রতীম সিংহরায়।
তিনি জানান,পুলিশে আস্থা ছিল না কারন যে সাতজনের বিরুদ্ধে লক আপে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ছিল তারা পুলিশ কর্মি।তাই তদন্ত প্রভাবিত হবে ভেবেই সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম।কিন্তু সিবিআই চার্জশিট দিল জামিন যোগ্য ধারায়।তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাই।হাইকোর্টের বিচারক নির্দেশ দেন নতুন ধারা যুক্ত করার।আমরা আবদেন করেছি অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়ে সেশান আলাদতে পেশ করা হোক।তারপর চার্জ গঠন করা হোক।এটা যদি না হয় তাহলে আবার হাইকোর্টে যাব।
আজ অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন অনুপস্থিত থাকায় এবং সিবিআই আইনজীবী না আসায় শুনানি হয়নি।
গত দশ বছর ধরে স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে আদালতের দরজায় ঘুরছেন নাসিরুদ্দিনের স্ত্রী মানুজা বিবি।স্বামীকে যে ভাবে থানায় পিটিয়ে মারা হয়েছে তার বিচার পাবেন।
মানুজার বাবা সেখ আব্দুল আলি বলেন,অনেক ভয় প্রলোভন দেখানো হয়েছে।এই ঘটনায় প্রভাবশালীরা আছে সবার বিচার চাই।।।