রবিবার সকাল থেকেই চিটফান্ডকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী।
সুবোধ অধিকারীর একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাটে সিবিআই হানা দেয়।একাধিক বিলাসবহুল আবাসনে ফ্ল্যাট সুবোধ অধিকারীর।হালিশহরে সুবোধের বাড়ি ছাড়াও কলকাতায় ৪টি ফ্ল্যাটে হানা।
টালা পার্ক, পাইকপাড়া ও লেক টাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তদন্তে সূত্র ধরেই বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর সহায়ক অভিজিৎ শিকদারের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা।
রবিবার ছুটির দিনে সাত সকালে প্রায় পৌনে ৯ টা নাগাদ বিজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে হাজির হয় সিবিআই । সুবোধ অধিকারীর ভাই কাঁচরাপাড়া পৌরসভার পৌরপ্রধান কমল অধিকারীর বাড়িতেও চলে তল্লাশি অভিযান।এর পাশাপাশি কাঁচরাপাড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঝুম্পা সিং এর বাড়িতেও সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি চালায়। দফায় দফাই চলে তল্লাশি অভিযান। মূলত হালিশহরের চেয়ারম্যান রাজু সাহানি ঘনিষ্ঠ এই সুবোধ অধিকারী এবং কমল অধিকারীর ব্যবসায়িক সংক্রান্ত কোনো লেনদেন ছিল কিনা তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সিবিআই তরফ থেকে। প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা তল্লাশি চালানোর পর সেখান থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই এর কিছু প্রতিনিধি দল। তল্লাশি অভিযানের মাঝেই মঙ্গলদীপ আবাসনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলে কর্মী সমর্থকরা। এর পরেই সিবিআই সেখান থেকে তারা পৌছায় হালিশহর থানায়।সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে তারা আবার ফিরে আসে সুবোধ অধিকারীর মঙ্গলদীপ আবাসনে। এরই মাঝে সিবিআই সূত্রে খবর পাওয়া যায়, কলকাতয় সুবোধ অধিকারী নামে রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট।টালা পার্ক, দক্ষিণদাঁড়ি এবং পাইকপাড়ায় চারটে ফ্ল্যাটে হানা দেয় সিবিআই। ট্যাপ দুটো নাগাদ পাইকপাড়ায় বিটি রোডের ধারে একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেখানে একটি ফ্ল্যাট থেকে ব্যাংক একাউন্টের কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। দুই জায়গায় প্রায় চার ঘন্টা ধরে তল্লাশি চালায় সিবিআই আধিকারিকরা। মোট আট ঘন্টার এই তল্লাশি অভিযান চলে। এরপরে প্রায় ৭ টা নাগাদ বিজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর পৈত্রিক বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। তবে সেখান থেকে কি কি উদ্ধার হয়েছে, আরও সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে কিনা তা কিন্তু স্পষ্ট নয়। এর পাশাপাশি কলকাতার ফ্ল্যাট গুলিতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। সবটা মিলে কার্যত বীজপুরে বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।