‘দল যে দায়িত্ব দেবে,সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে’, বিক্ষুব্ধদের কড়া বার্তা বিজেপির বিশেষ বৈঠকে। আইসিসিআরে রাজ্য পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের। সূত্রের খবর, সেখানে এও বলা হয়েছে যে দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে ক্ষোভ থাকলে প্রকাশ্যে বলা যাবে না।
আপাতত প্রথম পর্যায়ের বৈঠকই হয়েছে। সেখানেই রাজ্য নেতৃত্বকে বলা হয়, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে সেটাই মানতে হবে। অতীতে বিভিন্ন সময়ই নানা কমিটি গঠন ঘিরে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জল্পনা দানা বেঁধেছে। যাঁরা সেই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন বা যাঁরা পাননি, তাঁদের অনেকেই দল ছাড়ার কথাও বলেছেন। কখনও আবার তাঁরা প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমে নিজেদের ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। সবটা মাথায় রেখেই এদিন কড়া বার্তা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের। তাঁরা জানিয়েছেন, দল তাঁদের যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে তাঁরা সেটাই পালন করেছেন। বিজেপি তার সব কর্মীর কাছ থেকেই এই জিনিস প্রত্যাশা করে, মনে করান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। এও বলা হয়, সেই দায়িত্ব পালন করে যাঁরা সফল হবেন তাঁরা নতুন দায়িত্ব পাবেন। এর পাশাপাশি আরও একটি বিষয় আলোচিত হয় এদিনের বৈঠকে। সূত্রের খবর, সরকার বদলাতে গেলে যে শক্তিশালী সংগঠন জরুরি সে কথা ফের মনে করানো হয়েছে এই বৈঠকে। একই সঙ্গে জানানো হয়, রাজ্য বিজেপি নেতারা যেন ইডি-সিবিআইয়ের ভরসায় না থাকেন। দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, যদি সরকার গড়তে হয় তা হলে নিজেদের তার যোগ্য করে তুলতে হবে। সেই জন্য সংগঠন তৈরি আবশ্যক, বলা হয়েছে প্রথম পর্যায়ের বৈঠকে।
ইডি ও সিবিআইকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়ে ব্যবহার করছে, এই অভিযোগ নতুন নয়। গত মাসের শেষ দিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ফের বলেন, ‘ইডি-সিবিআইয়ের ভয় দেখিয়ে যত ভাববে যে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমিয়ে রাখা যাবে তত আমরা আমাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হব।’ তার আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে জয়ের পর খোদ দলনেত্রীর মুখে শোনা গিয়েছিল, ‘পিএম কেয়ার্স থেকে কোটি কোটি টাকা তুলে নিল। সিএসআরের টাকা নিয়ে নিয়েছে। টাকা, ইডি, সিবিআই – বিজেপির তিন রত্ন। বাদবাকি সবটাই অনর্থ। এই নিয়ে দেশ চলতে পারে না।’ পাল্টা দিয়েছে বিজেপি। কম-বেশি তাদের একটাই যুক্তি। যদি তৃণমূলের কেউ কিছু না-ই করে থাকেন, তা হলে ইডি বা সিবিআই তদন্তে ‘ভয়’ কীসের? সেন্ট্রাল এজেন্সি নিয়ে তরজা তাই নতুন নয়।