বর্ষাকাল এলো প্রায় চলেও গেল। কিন্তু সেই ভাবে দেখা মেলেনি বৃষ্টির। গরমে হাঁসফাঁস করছিল মানুষ। চাতক পাখির মত যেন বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে ছিল। অবশেষে অপেক্ষার সমাপ্তি। স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন সকাল গড়িয়ে দুপুরে বৃষ্টি। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো এলাকাবাসী। মালদাওজেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাতে স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। বেলা কিছুটা গরাতে বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর বৃষ্টি নামতেই স্বস্তি এলাকাবাসীর। কারণ এ বছর তেমন ভাবে বৃষ্টি হয়নি। বর্ষাকাল প্রায় শেষের মুখে। কিন্তু দেখা মিল ছিল না বৃষ্টির। গরমে হাঁসফাঁস করছিল মানুষ। আপাতত কিছুটা হলেও যেন সেই গরম থেকে রেহাই মিলল এলাকাবাসীর। এলাকা জুড়ে ছুটির আমেজ একটা ছিল। কারণ রবিবার এবং তারপরের দিন স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। তারপর মঙ্গলবার বৃষ্টি। বৃষ্টির ফলে স্বাভাবিক জীবন কিছুটা ব্যাহত হয়। মঙ্গলবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পাশে হাট বসে। বৃষ্টির ফলে প্রভাব পড়েছে হাটের কেনা বেচায়। ক্রেতাদের দেখা নেই তেমন ভাবে। ফলে হাঁটের দোকান গুলো দেখা গেল ফাঁকা। কিন্তু কেনা-বেচা কম হলেও গরম থেকে স্বস্তি পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরাও। পরপর দুইদিন ছুটির পর মঙ্গলবার দিন কাজের শুরুতে বৃষ্টি নামাতে গরমের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পেল এলাকাবাসী।
হাঁটের এক দোকানদার অপু দাস বলেন,” কিছু ক্ষণ আগে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির ফলে ইতিমধ্যে জল জমতে শুরু করেছে। ফলে মানুষজন কম আসায় কেনা-বেচা হচ্ছে না। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে গরমের ফলে খুব কষ্ট হচ্ছিল। সেই গরমের হাত থেকে রেহাই মিললো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 4 =