স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাশ না করায় ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল টালা ব্রিজ। পরবর্তীতে তা ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয় এই ব্রিজের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ফের খুলতে চলেছে উত্তর কলকাতার এই লাইফলাইন।
টালা ব্রিজের নাম আগে ছিল হেমন্ত সেতু।ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রয়াত নেতা হেমন্তকুমার বসুর স্মরণে এই ব্রিজের নাম রাখা হয়েছিল হেমন্ত সেতু।১৯৭১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি শ্যামপুকুর স্ট্রিটে এই রাজনৈতিক নেতার উপর হামলা হয়েছিল।ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে।এতদিন ধরে টালা সেতুর নাম রয়ে গিয়েছিল হেমন্ত সেতুই। নতুন সেতুর অন্য কোনও নামকরণ আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেন কিনা, সেদিকে নজর থাকবে সকলেরই।
আজ বিকেল ৪টেয় এই হেমন্ত সেতুর উদ্বোধন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড অতিমারি পর্বেও অব্যাহত ছিল টালা ব্রিজ নির্মাণের কাজ। এই ব্রিজ তৈরিতে আনুমানিক খরচ পড়েছে ৪৬৫ কোটি টাকা। মোট ১৫০০ শ্রমিক ২৪ ঘণ্টার অক্লান্ত পরিশ্রমে এই ব্রিজের নির্মাণকাজ করেছেন। পুজোর আগে শহরবাসীকে এই ব্রিজ উপহার দিতে দিনভর কাজ করেছেন তাঁরা।নবনির্মিত ব্রিজটি পর্যবেক্ষণ করে উদ্বোধনের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছেন জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক সন্তোষ পাণ্ডে এবং পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা।যদিও সম্পূর্ণ লোড টেস্টিংয়ে বেশ খানিকটা সময় লেগে গিয়েছিল। অত্যাধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি অবলম্বন করে এই ব্রিজের নির্মাণ হয়েছে।কোনও নাটবল্ট ব্যবহার করা হয়েনি ব্রিজ নির্মাণে । টালা সেতুর পুরনো কাঠামোটি আগে সুরক্ষিত ছিল না বলেই জানাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
দুর্গাপুজো চাক্ষুষ করতে আসা বিদেশীদের সুবিধার্থেই আগেভাগে এই ব্রিজ খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। টালা ব্রিজ খুলে দেওয়া হলেও আপাতত কিছুটা হলেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে সেতুর উপর। এখন ব্রিজের উপর দিয়ে কেবলমাত্র ছোট গাড়ি চলবে।এরপর ধীরে ধীরে বড় গাড়ি এবং মালবাহীগুলিকে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে । এক সপ্তাহ ধরে ব্রিজের যান চলাচল নিয়ে রিপোর্ট নেওয়া হবে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের থেকে। এই ব্রিজ পুনরায় চালু হওয়ার জেরে স্বস্তি ফিরবে ডানলপ,,, সোদপুর,,, ব্যারাকপুরের যাত্রীদের।অধীর আগ্রহে টালা ব্রিজ উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে উত্তর কলকাতা এবং উত্তর শহরতলীর বাসিন্দারা।