দুই বর্ধমান সফরে মুখ্যমন্ত্রী,যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে প্রস্তুতি।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষকদের সম্মান প্রদান অনুষ্ঠান রয়েছে।যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে গোদার মাঠে অনুষ্ঠান প্রস্তুতি।এক লক্ষ লোকের সমাগম হবে সোমবারের অনুষ্ঠানে।মাটি তীর্থের মাঠ নিচু থাকায় সোমবারের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে গোদার মাঠে।দুই বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রীর দুদিনের অনুষ্ঠান রয়েছে।
প্রশাসনের খবর অনুযায়ী,সোমবার ১২:৪৫ নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমানের গোদার মাঠে নামবেন।এই গোদার মাঠেই কৃষকদের সম্মান প্রদান করবেন।এই কৃষকদের সম্মান অনুষ্ঠানে পূর্ব বর্ধমান জেলা ২৩ টি ব্লকের প্রায় ১ লক্ষ কৃষকের সমাগম ঘটবে।
ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি ব্লকে,২৫টি করে থাকবে,মোট৬০০ বাস থাকবে কৃষকদের আনার জন্য।প্রশাসন থেকে কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বা সে যেন দলীয় পতাকা লাগানো না হয় যেহেতু এটা সরকারি অনুষ্ঠান।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী,গত দু’দিন ধরে চলছে মাঝারি বৃষ্টিপাত।সেই কথা মাথায় রেখে মাটি তীর্থের মাঠ নিচু হওয়ায় এই অনুষ্ঠান সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে গোদার মাঠে।যারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে আসবেন তারা যাতে কোনভাবেই না বৃষ্টিতে ভিজে যান সেই কারণেই ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়েছে।আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রীর সফর হেলিকপ্টারে নির্ধারিত হওয়ার কথা থাকলেও পাশাপাশি ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে তিনি যাতে সড়ক পথে আসতে পারেন সেই দিকে নজর থাকছে প্রশাসনের।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির কাজ।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য আঁটোসাঁটো করে ফেলা হয়েছে বর্ধমান শহরকে।গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নাকা চেকিং।নবান্ন সূত্রের খবর,পূর্ব বর্ধমানের অনুষ্ঠানের পর সরাসরি চলে যাবেন আসানসোলে।সোমবার রাতে আসানসোলে রাত্রি বাস করে পরের দিন দুর্গাপুরে পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার সরকারি সভা করে তিনি ফিরবেন বলে সূত্র মারফত খবর।