জানা গেছে সুন্দরবনের জয়নগর, পাথর প্রতিমা ব্লকের দুগ্ধ উৎপাদনে দেশের মধ্যে রাজ্য একটা জায়গা করে নিয়েছে।আর এই দুগ্ধ উৎপাদন করে এবার বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেল সুন্দরবনের মহিলারা। সুন্দরবন মানে জল জঙ্গল নিয়েই জীবন, জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ এই নিয়ে সংসার সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের। মূলত সুন্দরবনে কৃষি কাজের পাশাপাশি জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করা নদীতে মাছ কাকড়া ধরা এটাই তাদের প্রধান জীবিকা।আর এই বিপদ সংকুল সুন্দরবনে একাধিক হিংস্র জীব জন্তুর আক্রমণে অনেক সময় তাদের প্রাণও দিতে হয়। যাতে আর বাঘ কিংবা কুমিরের আক্রমণে প্রাণ না দিতে হয় তাঁর জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে দুগ্ধ উৎপাদনে এগিয়ে এলো মহিলারা।বাড়িতে বাড়িতে দুধ সংগ্রহ করে দুধকে বিভিন্ন প্রসেসিং করে ঘি, ঘোল, ছানা তৈরি করছে। সেই ঘি বাজারে বিক্রি করছে৷
কয়েক শত পরিবার এই ভাবেই জীবিকা নির্বাহ করে বেঁচে আছে। এই সমস্ত এলাকাবাসীদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অসহায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গঞ্জের বাজার মধ্যাঞ্চল কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সহ অন্যান্য সমব্যায়ের মাধ্যমে পাথর প্রতিমা জয়নগর, কাকদ্বীপ নামখানা মথুরাপুর এলাকায় গৃহবধূ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যে সমস্ত বাড়িতে দুগ্ধবতী গাভী আছে সেখান থেকে দুধ সংগ্রহ করে তা প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে দেশি ঘি উৎপাদন করছেন।তাঁরা নিজেরা সেই দুধ বাড়িতে বিভিন্ন উপায়ে প্রসেসিং করে ঘি তৈরি করছে।আর সেই ঘি বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে।আর এভাবেই নিজেরা জঙ্গলে না গিয়ে জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে এইভাবে আগামী দিনে তাদের সংসারে স্বচ্ছতা আনতে এবং নিজেরা স্বাবলম্বী হতে এই ধরনের ব্যবসা করে নিজেরাই বিকল্প কর্মসংস্থানের দিশা দেখছে। বিশেষ করে পাথরপ্রতিমা ব্লকের দেবীচক সুন্দরিনী প্রকল্প যেখানে দুধের গুণগতমান বিচার করে পয়সা দেওয়া হয় সেখানে প্রতিদিন আসছে হাজার হাজার লিটার দুধ, দুধ শীতলীকরণ করে জয়নগর মথরাপুর বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেখানেই প্যাকেট যাতে করে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন খাবার তৈরীর কাজে। এই কাজেই রয়েছে প্রায় কয়েক শতাধিক মহিলা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × 3 =