দু’বছর পর মালদা শহরের রাস্তায় গড়ালো রথের চাকা।
সারা বিশ্বের পাশাপাশি মালদা ইসকনের উদ্যোগে রথযাত্রার সূচনা।শুক্রবার বিকেল ৩ টা নাগাদ মালদা শহরের নেতাজি মোড় এলাকা থেকে রথ যাত্রার সূচনা করা হয়।উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া,পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব,ডিআইজি অলোক রাজোরিয়া,ইংরেজ বাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণ নারায়ণ চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।এদিকে,গত দুই বছর করোনা আবহে বিধি নিষেধ ছিল রথযাত্রাতেও।করোনা কাটিয়ে এবছর মালদা শহরের রাস্তায় গড়ালো রথের চাকা।মালদা ইসকনের উদ্যোগে প্রতিবারের ন্যায় এবছরও তিনটি রথে জগন্নাথ,বলরাম এবং সুভদ্রাকে নিয়ে রথ মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে নাম সংকীর্তন শুরু করেন ভক্তরা।হাজার হাজার ভক্তের ভিড় জমে নেতাজি মোড় এলাকায়।
কথিত রয়েছে, রথ যাত্রার দিন রথের দড়ি ধরে টানলে পূণ্য অর্জন হয়।মন্দির থেকে জগন্নাথ,বলরাম এবং সুভদ্রার বিগ্রহ নিয়ে আসা হয় নেতাজি মোড় এলাকায়।এরপর সেই বিগ্রহ রাখা হয় তিনটি রথে।অন্যদিকে, মহাসমারোহে হাজার হাজার ভক্ত রথের দড়িতে টান দেয়।সারা শহর পরিক্রমা করে রথ পৌঁছায় মালদা শহরের প্রান্তপল্লী ময়দান এলাকায়।সেখানে মাসির বাড়িতে আগামী সাতদিন ধরে থাকবে রথ।সাত দিন ধরে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে সেখানে।সাত দিন পর আবার উল্টো রথের দিন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিবে জগন্নাথ,বলরাম ও সুভদ্রার রথ।রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সারা শহরে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পাশাপাশি,মালদা ইসকনের প্রধান সেবায়েত ব্রজরাজ কানাই দাস বলেন,গত দুই বছর করোনার জন্য অনুষ্ঠিত হয়নি রথযাত্রা।এবছর বহু ভক্তের সমাগমে আয়োজন করা হয় রথযাত্রার।নেতাজি মোড় থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার রথ পৌঁছায় মাসির বাড়ি প্রান্তপল্লী এলাকায়।সেখানে ভক্তদের জন্য অন্য ভোগ এবং আগামী সাতদিন ধরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।