দেশের একমাত্র মহকুমা পরিষদ শিলিগুড়িতে নির্বাচন।
১৯৮৮ সালে দার্জিলিং গোর্খা পার্বত্য পরিষদ গঠিত হলে সাংবিধানিক তথা ভৌগোলিক বাধ্যবাধকতার কারণেই শিলিগুড়ি মহকুমার হিমালয় পাদদেশ সংলগ্ন সমতল এলাকার ৮৩৭.৪৫ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে দেশের একমাত্র মহকুমা পরিষদটি গঠিত হয় ১৯৮৯ সালে। ১৯৮৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের শাসন ক্ষমতা ছিল বামফ্রন্টের হাতে।
এই অঞ্চলের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ রাজবংশী, আদিবাসী ও অনগ্রসর মুসলিম সম্প্রদায়ের।আদিবাসী চা-শ্রমিকদের এখানকার অর্থনীতিতে বেশ বড় ভূমিকা আছে।এই অঞ্চলে চা-বাগান,আনারস বাগিচা সহ অন্যান্য কৃষিজ উৎপাদন এবং পর্যটনের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিগত দিনগুলোতে তেমন কোনো উন্নয়ন হয় নি।বর্তমানে রাজ্যে এবং শিলিগুড়ি পুরনিগমে ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস।তৃণমূল কংগ্রেস মরিয়া এবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ দখল করতে।সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শিলিগুড়ি পুরো নিগমের পর এবার প্রথমবার শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদও তৃণমূল কংগ্রেস দখল করতে চলেছে।
তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাতে গত ১৭ তারিখ থেকে রাজ্যের ডাকসাইটে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শিলিগুড়িতে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছেন।এই কয়েকদিনে তিনি মহকুমা পরিষদের প্রত্যেকটি অঞ্চল ঘুরে ফেলেছেন।এদিন সমস্ত নির্বাচনের খুঁটিনাটি শিলিগুড়িতে বসেই কন্ট্রোলরুমের মাধ্যমে পরিচালনা করছেন।
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মোট ভোটার সংখ্যা ৫লক্ষ ২৭হাজার ৯৩৮জন। তার মধ্যে মহিলা ভোটার রয়েছে ২লক্ষ ৬৪হাজার ৪৬৭জন ও পুরুষ ভোটার রয়েছে ২লক্ষ ৬৩হাজার ৪৬৮জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ৩জন ভোটার রয়েছে। এই নির্বাচনে ৩৮২টি ভোটকেন্দ্রে থাকছে ৬৫৭টি বুথ। যার মধ্যে ১০৩টি অক্সিলারি বুথ রয়েছে।এদিন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে মোট ৫৩৭টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। যার মধ্যে ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৬২টি আসন, ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬টি আসন ও মহকুমা পরিষদের ৯টি আসন।