দেশ পেরিয়ে এবার বিদেশ। বার্লিন – জার্মানির রাজধানী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৃহত্তম জনবহুল শহর। ইতিহাসের বহু পাতা পেরিয়ে বার্লিন আজ এক বিশ্ব শহর।সংস্কৃতি,স্টার্ট আপ,রাজনীতি,মিডিয়া এবং বিজ্ঞানের পীঠস্থান। গত এক দশকে বহু বাঙালি এই সংস্কৃতি এবং বিজ্ঞানের স্পন্দন অনুভব করে এখানে বসবাস করতে শুরু করে। বাঙালি মানেই আড্ডা। আর এভাবেই এক আবেগের আড্ডায় ২০২১ সালে প্রবাসী বাঙালির সংগঠন “Ignite ev” ঘোষণা করে দূর্গাপুজোর সূচনার। আর এই বার্লিনের পুজোর প্রতিটি মুহূর্তের উপলব্ধি তুলে ধরেছেন ‘বর্তমান সময়ে’র এক প্রবাসী বন্ধু সায়ক সাহা।
“এবারের পুজো পা দিলো তৃতীয় বর্ষে। পুজোর থিম “ঐক্য ও সংস্কৃতির শারদীয় উৎসব”। মায়ের মূর্তিটি বানিয়েছেন কুমোরটুলির প্রখ্যাত শিল্পী মিন্টু পাল।প্রতি বছরের মতো এবারের পুজোও সমস্ত বিধি আচার মেনে পালন করা হবে পাঁচ দিন।২০ থেকে ২৪ এ অক্টোবর। পুজো প্রাঙ্গন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বার্লিনের হিন্দু গনেশ মন্দির।প্রবাসী কলাকুশলীর নকশা, ঢাকের আওয়াজ এবং উদ্যোক্তা দেড় কয়েক মাসের কঠোর পরিশ্রমে সেজে উঠবে বার্লিনের পুজো প্রাঙ্গন।পুজোর উদ্বোধন করবেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত পারবাথানেনি হরিশ। বার্ষিক শারদীয়া পত্রিকা ‘বার্লিন বার্ষিকীর’ উন্মোচন হবে শুভ মহালয়ায়।মাকে বরণ করে পুজোর সূচনা হবে ষষ্ঠীতে। বার্লিন শহরের প্রায় দশ হাজার দর্শনার্থী মায়ের আরাধনা এবং অঞ্জলি দেবেন সপ্তমী ,অষ্টমী এবং নবমীতে। অষ্টমীতে থাকছে কুমারী পুজো এবং সন্ধি পুজো।
দশমীর বিষাদে মায়ের বিদায় এবং সিঁদুর খেলার সাথে আবার অপেক্ষা আগামী বছরের। এছাড়া ও উৎসবের আঙ্গিনা মাতিয়ে তুলবে প্রত্যেক সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠান সূচি ভরে রয়েছে বাচ্চাদের নাটক, কবি গুরুর গান, থাকছে নানা ঘরানার নাচ ও নৃত্য-নাট্য এবং অবশ্যই মন মাতানো বাংলা আধুনিক গান এবং ব্যান্ড সঙ্গীত।
ভোজন রসিক বাঙালির পুজো অপূর্ণ থেকে যায় সুখাদ্য বিনা। পুজোর প্রতিদিন থাকছে ভোগের প্রসাদ এবং তার সাথে থাকছে ফুডষ্টল। মলূত ভারতীয় নারীদের উদ্যোগে এর আয়োজন হয়।পুজোর রেশ ছড়িয়ে পড়েছে বাঙালি ,অবাঙালি এবং বহু ভিন দেশ থেকে আশা আমাদের বন্ধু পরিবার গুলির মধ্যেও। গত কয়েক মাস ধরে চলছে পুজোর প্রস্তুতি, বাচ্চাদের নাটকের মহড়া,বড়োদের সঙ্গীতের রেওয়াজ এবং আরো কত কি।”
এহেন এক বার্লিন পাড়ার পুজোয় Ignite ev থেকে মেতে উঠবে সবাই পুজোর কদিন উদযাপন করতে ‘বার্লিন সার্বজনীন দুর্গোৎসব ২০২৩’।