ধূপগুড়িতে এক তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়
গদেয়ারকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতের টুকলিমারি এলাকার এক তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুভ রায় নামে সেই ছাত্রের দেহ ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি এখনো পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ এসে সেই মৃতদেহ নিজের হেফাজতে নেয়। আগামীকাল দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়িতে পাঠানো হবে। মৃতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল থেকে সে হাতের যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। এরপর তাকে স্থানীয় এক ওঝার থেকে ঝাড়ফুঁক করা হয়। আজ দুপুরে পরিস্থিতি অবনতি হয়। শেষে সন্ধ্যায় ধুপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসলে শেষ রক্ষা হয়নি। স্থানীয় আরেকটি সূত্র মারফত জানা যায় তাকে সাপ কামড়ে ছিল সঠিক চিকিৎসা না করে ওঝার উপর ভরশা করেন পরিবার। যদিও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। তবে গতকাল থেকে যখন সে শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিল সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এত দেরি করে কেন হাসপাতালে আনা হলো সেই নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মৃত ছাত্রের বাবা ভোলেন রায় কর্মসূত্রে পার্শ্ববর্তী জেলা কালিম্পং এ থাকেন। তিনি ছেলে অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে আসেন। তিনিও এই মৃত্যু সম্পর্কে সঠিকভাবে কিছুই বলতে পারেননি। কাজেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা জন্য পুলিশি তদন্ত থেকে শুরু করে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের ওপর ভরসা না করে ঝাড়ফুঁক করানোর মাশুল গুনতে হলো একটি তরতাজা প্রাণকে। হয়তো বা সঠিক সময় হাসপাতালে নিয়ে আসলে প্রাণের বাঁচানো সম্ভব হতো তৃতীয় শ্রেণীর সেই ছাত্রকে।