নজরুল মঞ্চে রাজ্য মন্ত্রিসভার দপ্তরের বড়সড় রদবদল, কোন মন্ত্রী কোন কোন দায়িত্বে জেনে নিন ?
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিন তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রাজ্যস্তরের বৈঠক হল তৃণমূলের। পাশাপাশি এদিন ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপি বহিঃস্কৃত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, পরিবহণের পাশাপাশি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে ফিরহাদ হাকিম।অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী করা হল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে।এছাড়া দলীয় বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু দায়িত্ব দলীয় নেতা-নেত্রীদের মধ্যে ভাগ করে দেন।সুব্রত বক্সী, সৌগত রায় , শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় , ব্রাত্য বসু, শতাব্দী রায়, মানস ভুঁইয়াকে রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি পদে রাখার ঘোষণা করা হয়।
দেব, ডেরেক ও’ব্রায়েন, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কেও রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি করার কথা ঘোষণা করা হলো এই বৈঠকে।
অপরদিকে ফিরহাদ হাকিম , কুণাল ঘোষ , অর্পিতা ঘোষ , মনোরঞ্জন ব্যাপারিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সাংস্কৃতিক কমিটির চেয়ারম্যান করা হল রাজ চক্রবর্তীকে।উত্তর কলকাতার দায়িত্ব পেলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।পূর্ব মেদিনীপুরে দলের দায়িত্ব পেলেন সৌমেন মহাপাত্র।কৃষ্ণনগরের দায়িত্বে কল্লোল খান।সেইসঙ্গে বিধায়কদের কড়া বার্তা দিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভায় নিয়মিত বিধায়কদের আসতে হবে। অনুমতি না নিয়ে অনুপস্থিত হওয়া যাবে না।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,অরূপ বিশ্বাস,ডেরেক ওব্রায়েন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, কুণাল ঘোষদের নিয়ে মিডিয়া কমিটি গড়লেন মুখ্যমন্ত্রী।উত্তর-পূর্বের দায়িত্বে রাখা হল মানস ভুঁইয়াকে।এছাড়াও সঙ্গে থাকবেন সব্যসাচী দত্ত। ৫ মে নতুন সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ৫ মে থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত হবে জনসংযোগ যাত্রা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিলেন দলের উদ্দেশে তিনি বলেন “ট্রেডমিলে হেঁটে নয়, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঘাম ঝরান দলীয় নেতৃত্বরা।”