নতুন মোবাইল কেনা নিয়ে বচসা, স্ত্রীর মৃত্যুতে গ্রেফতার স্বামী।
বসিরহাট মহকুমার বাদুড়িয়া থানার নাগরপুর গ্রামের ঘটনা। ৬ বছর আগে হাসনাবাদ থানার আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলটুকারি রোকেয়া খাতুনের সঙ্গে বাদুড়িয়া নাগরপুর হাফিজুল মণ্ডল পেশায় চাষী তার সঙ্গে বিয়ে হয়।সেই সময়পণ হিসেবে পেয়েছিলেন মোটরবাইক ,আসবাবপত্র সোনার গহনাহ সহ নগদ অর্থ।এরপরই বিয়ের পর থেকে স্বামীর চাহিদা আরো বেড়ে যায়।কিন্তু রোকেয়ার পরিবারের সামর্থ্য ছিল না স্বামীর চাহিদা পূরণ করার।এই নিয়ে একাধিকবার বচসা, গন্ডগোল, ঝামেলা।সালিশি সভা বসলেও সমাধানসূত্র মেলেনি।পর পর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বেড়ে চলে।বধূর স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ননদ বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে ১ বছর ও আড়াই বছরের দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসতেন ওই মহিলা। সম্প্রতি নতুন একটি মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে গণ্ডগোল বচসা মারধর হয়। শুক্রবার রাত্রিবেলা এই নিয়ে পুরো বিষয়টা মহিলা তার ফোনে জানায় বাপের বাড়ির লোকজনদের।এরপরই শনিবার সকাল বেলা তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। লোকজন শ্বশুরবাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখে রোকেয়া নেই। হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়েছে। বারবার জানতে চাইলে পুরো ঘটনায় গোপন করার চেষ্টা করে বধুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃত বধুর মা আলেয়া বিবি জামাই হাফিজুল শাশুড়ি ফজিলা সহ চারজনের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ করেন। মেয়েকে পরিকল্পনা করে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে বলেই অভিযোগ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আত্মহত্যা না, খুন তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
