নাবালকের হাতে শিশুর মৃত্যু, দেগঙ্গায় উত্তেজনা।
বুধবার গভীর রাতে উত্তেজনা ছড়ালো দেগঙ্গা ব্লকের বাজিতনগর গ্ৰামে।বুধবার সন্ধ্যে থেকে নিখোঁজ ছিল মোবাশ্বির হাসান নামে ১০ বছরের এক শিশু।সন্ধ্যা থেকে সারা গ্ৰামের মানুষ তন্ন তন্ন করে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি।এরপর স্থানীয় এক মহিলাকে দেখে সন্দেহ হতে তার বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করে গ্রামবাসীরা।ওই মহিলার বাড়ির পিছনে প্রতিবেশীর বাথরুমে অর্ধনগ্ন শিশুর মৃত দেহের হদিশ পায় গ্ৰামবাসীরা।অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গ্ৰামবাসীরা।অভিযুক্তের ৬ টি ঘর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।ঘটনাস্থলে আসে দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্তদের গ্ৰেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায় গ্ৰামবাসীরা।ঘন্টা দুয়েক দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখানোর পর পুলিশ অভিযুক্ত ১৭ বছরের নাবালক সুমন মন্ডল ও তার বাবা- মাকে আটক করলে মৃতদেহ পুলিশের হাতে তুলে দেয় উত্তেজিত গ্রামবাসী।
মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্ত নাবালক চপ খাওয়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে মৃতদেহ বাথরুমে লুকিয়ে রেখেছিল।আর তাকে সাহায্য করেছে অভিযুক্তের মা।এর আগেও অভিযুক্তের নামে মারধর,আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বলে জানান গ্ৰামবাসীরা।অভিযুক্তের বাবা সোহাই শ্বেত পুর পঞ্চায়েতের সুপার ভাইজার।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।