নিউনর্মালে দুর্গাপুজোর বিষাদ কাটিয়ে বাঙালি মেতে উঠেছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোতে।
” এসো মা লক্ষ্মী বোসো ঘরে
আমার এ ঘরে থাকো আলো করে…।” ২ দিন বাদেই কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা। তাই আপামর বাঙালি চিরন্তন প্রথা মেনেই ঘরে ঘরে উদযাপন করবেন লক্ষ্মী পুজো।
বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়। কোজাগরী শব্দটি এসেছে ‘কো জাগর্তি’ থেকে, যার অর্থ ‘কে জেগে আছো?’।পূরণে বর্ণিত আছে এই পূর্ণিমার রাতেই দেবী লক্ষ্মী বরদান করার উদ্দেশে জগৎ পরিক্রমা করে দেখেন, কে সারারাত জেগে আছেন।” তাই সূর্যাস্তের পরই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো করা হয়ে থাকে।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে লক্ষ্মী দেবী আসেন বারবার। অনেকেই আবার সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী পুজো করে থাকেন।হিন্দু শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। তাই ধন সম্পদের আশায় এবং সংসারের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। এছাড়া কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে আছে আলপনা। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে লক্ষ্মীপুজোর আলপনাতেও দেখা যায় আঞ্চলিকতার প্রভাব। এখনও গ্রামাঞ্চল থেকে শহরের অধিকাংশ ঘরের দরজা থেকে দেবীর আসন পর্যন্ত আলপনায় ছোট ছোট লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ দেওয়া হয়। আর বাঙালি এইভাবেই দুর্গাপুজোর বিষাদ কাটিয়ে মেতে ওঠেন লক্ষ্মী পুজোয়।তবে এবছর সবকিছুই ছকভাঙা।করোনা আবহে সারা বিশ্ব তথা বাংলা যখন ত্রস্ত ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়ে আজ বাঙালির একটাই প্রার্থনা এই বসুন্ধরা যেন আবারো আগের মতো সুজলা, সুফলা হয়ে ওঠে আর মানুষ যেন দুর্দশা থেকে মুক্ত হয়।