পোলবার উচাই গ্রামের বাসিন্দা সুজয় ও দীপালী বাগের একমাত্র ছেলে সৌদীপ এবার নিট পরীক্ষা দিয়েছিল।হুগলি কলিজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সৌদীপ।তার আগে পাউনান হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক।স্কুলে প্রথম থেকে ফার্স্ট হত সে।মাকে বলত ডাক্তার হতে চায়।সেই মত পড়াশোনা শুরু করে।চুঁচুড়া গৃহশিক্ষকদের কাছে অংক ,ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি পড়ার পাশাপাশি কলকাতার বিভিন্ন ইন্সটিটিউটে অনলাইন কোচিং নিতে থাকে।মক টেস্টগুলোতে খুব ভালো নম্বরও পায়।৭২০ তে ৬৭০ নম্বর পায় শেষ মক টেস্টে।নিট পরীক্ষা দিয়ে মাকে ফোন করে জানায় ভালো হয়েছে পরীক্ষা।সে পাশ করবেই।গত ৪ ঠা জুন নিটের ফল বেরোয়।সেদিন থেকেই নিখোঁজ সৌদীপ।

দীপালী দেবী জানান,সন্ধায় লুচি তরকারি খাবে বলল ছেলে।দোতলায় ছিল নিজের ঘরে।আটটা নাগাদ একটা শব্দ হল।আমি আর ওর বাবা গিয়ে দেখি ঘরে নেই।তারপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।গ্রামের লোকজন প্রতিবেশিরা সবাই মিলে খুঁজতে শুরু করে।কোনো সন্ধান মেলে না।গত দুবছর ধরে খুব খেটেছে।বই মুখে দিয়ে পরে থাকত।আমরা কোনো চাপ দিতাম না।পরিশ্রম করেছিল ওর বিশ্বাস ছিল নিট ক্র্যাক করবে।কিন্তু কি যে হল।
সৌদীপের পিসতুতো দাদা ইন্দ্রজিৎ ধারা বলেন,ভাই ছোটো থেকেই মেধাবী।ও যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিল এত খারাপ ফল হতে পারে ভাবতে পারিনি।ওই দিন নিটের ফল বেরিয়েছে সেটা বাড়ির কেউ জানত না।পরে ওর এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি ফল বেরোনোর কথা।এবার শুনছি নিটের ফলাফলে অনেক দূর্নীতি হয়েছে।জানিনা ঠিক কি হয়েছে।তবে ডাক্তারি পড়ার আশা ভঙ্গ হওয়াতেই সৌদীপ বাড়ি থেকে কোথাও চলে গেছে।পোলবা থানায় নিখোঁজ ডায়রির পর পুলিশও খোঁজ শুরু করে।বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে হাসপাতাল কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি এখনো।ছেলের চিন্তায় ঘুম নেই মায়ের।কেঁদে কেঁদে দিন কাটছে।

সৌদীপের বাবা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুজয় বাগ বলেন,ছেলে যেখানেই থাকুক সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরুক।দুশ্চিন্তায় রয়েছে বাড়ির সবাই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

10 − eight =