পক্ষী গননা শেষ চুপিতে।এগারো হাজারের বেশী পাখির হদিশ।ষাটটির বেশি প্রজাতির পাখি।কালনায় এখনো গননা চলছে। চাষের জমি থাকায় কালনায় পরের বছর পাখি আসবে?প্রশ্ন রেঞ্জ অফিসারের।
শনিবার পূর্বস্থলির চুপিতে কাটোয়ার রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে ১৫ জনের সদস্য চারটি নৌকা করে ছারিগঙ্গায় সারাদিন ধরে গননা চালিয়ে এগারো হাজারেরও বেশী পাখির সন্ধান পায়।দেখা যায় এগারো হাজার পাখির মধ্যে ষাটটি প্রজাতির পাখি রয়েছে। এ বছর চুপি চড়ে নতুন প্রজাতির, প্রিনিয়া, ব্ল্যাক উইন স্টিল, ইস্টার্ন মার্স, হেরিয়ারের মতো নতুন প্রজাতির পাখির হদিস মিলছে।এবছর প্রথমবার কালনা কোর্ট লাগোয়া জলাশয় ও চাষের জমিতে আসতে শুরু করেছে বিদেশি পাখি।কালনায় প্রথমবার শীতের শুরুতে পাখি আসায় নজরদারি চালাচ্ছে বনদপ্তর।
রবিবার সকাল থেকেই কাটোয়া রেঞ্জ অফিসার শিবপ্রসাদ সিংহের নেতৃত্বে পনেরো সদস্যের দল উন্নত মানের ক্যামেরা, বাইনোকুলার ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নিয়ে গননার কাজ শুরু করেছে।
রেঞ্জ অফিসার জানালেন,গননা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবেনা সঠিক সংখ্যা।তবে পাখির সংখ্যাটা কম নয়। এরমধ্যে লেজার হুইসলিং বার্ড এর সংখ্যাটাই বেশি।প্রথমবার কালনা কোর্ট চত্বরে লাগুয়া জলাশয় পাখি আসাতে খুশি যেমন কালনাবাসি ,খুশি কালনা এলাকায় ঘুরতে আসা পর্যটকরাও।তবে প্রথমবার পাখিগুলো এখানে এলেও পরের বছর আসবে কিনা সে নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অত্যাধিক পরিমাণ কৃষি ভূমি থাকায় মানুষের আনাগোনা বেশি, সেই কারণেই বনদপ্তর মনে করছেন সামনে বছর থেকে পাখির সংখ্যাটা কমে যেতে পারে।