বৃক্ষছেদন করে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। তাই পরিবেশ বাঁচাতে সচেতনতার বার্তা দিতে বারুইপুরে আদি গঙ্গার ধারে বট গাছের সঙ্গে বিয়ে হল অশ্বথ গাছের।১১ জন ব্রাহ্মণ দিয়ে সম্পন্ন হয় এই বিয়ে। সানাই এর পাশাপাশি গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে নান্দি মুখ সবই হল নিয়ম রীতি মেনেই। ৫০ কিলো কাঠে হল হোমের যজ্ঞ। এমনই বিয়ের আসর বসল বারুইপুরের সদাব্রতঘাট ঘাট সংলগ্ন আদি গঙ্গার পাড়ে হনুমান মন্দির ও কীর্তনখোলা মহাশ্মশানের মধ্যবর্তী এলাকায়।
অশ্বথ গাছের মধ্যে ভগবান বিষ্ণু আছেন। বটগাছে রয়েছেন মা লক্ষ্মী। সেই জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এই বিয়ের আসর। কুয়াশা ঘেরা পরিবেশ। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। এই বিয়ের আসরে হাজির বাড়ির গৃহবধূরা। কেউ বারুইপুরের বাসিন্দা, কেউবা এসেছিলেন সুভাষগ্রাম থেকে। কেউবা এসেছেন জয়নগর থেকে। বটগাছ কে নতুন শাড়ি পোড়ানোর পাশাপাশি অশ্বথ গাছকেও পরানো হয় নতুন ধুতি। সদাব্রতঘাটে গিয়ে জল আনা থেকে গায়ে হলুদ বিয়ের কোনও নিয়মই বাদ যায়নি।
হলুদ পাড়ের শাড়ি পড়ে গৃহবধূরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিলেন আয়োজনে। কেউ হয়েছেন বর পক্ষের লোক। কেউ বা কনে পক্ষে। দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল সানাই, ঢাক-ঢোলের আওয়াজ। বিয়ের আসরে ভুরিভোজের আয়জনেও খামতি ছিল না খাওয়ানো হয় পোলাও, আলুর দম ও চাটনি। চার হাজার লোকের সমাগম হয়েছিল এই বিয়েতে। বিয়ের পরে হনুমান মন্দিরে বিতরন করা হয় প্রসাদ।