পরিবেশ বান্ধব পাটের রাখী বানিয়ে তাক লাগালো নদিয়ার স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
এর আগে তারা তৈরি করেছিলেন কচুরিপানা এবং তালপাতা দিয়ে রাখী।এবার নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের চন্দননগর গ্রামের চন্দননগর এল এস স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তৈরি করেছেন পাটের তৈরি রাখী। মূলত পরিবেশ দূষণ রোধ করার উদ্দেশ্য নিয়েই তারা রাখী তৈরীর উপকরণ খুঁজে থাকেন। ওই স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে বিশাখা বিশ্বাস,কাঞ্চন বাগচিরা জানিয়েছেন,’ প্লাস্টিক দূষণ এবং পরিবেশ দূষণ রোধ করার উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা রাখী তৈরির উপকরণ খুঁজে বার করি।আমাদের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বিভিন্ন রকম জিনিস দিয়ে বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকেন। তার মধ্যে রাখী তৈরিতে একটি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত যে ধরনের জিনিস দিয়ে রাখী তৈরি করা হয় আমরা সেই ধরনের জিনিস দিয়ে রাখী তৈরির পথে হাটি না। আমরা পরিবেশ দূষণ রোধ করার উদ্দেশ্য নিয়েই মূলত রাখী তৈরির উপকরণ খুঁজে বার করে থাকি। দু’বছর আগে আমরা কচুরিপানা দিয়ে রাখী তৈরি করেছিলাম। মানুষের কাছে তা ভীষণ চাহিদা হয়েছিল। মানুষ রাখী মূলত একদিনের জন্যই পড়ে থাকেন। এরপর সেই রাখী ফেলে দিলে তা মাটির সঙ্গে মিশে যেতে কোন অসুবিধা হয় না। এরপর আমরা তালপাতা দিয়ে রাখী তৈরি করেছিলাম। তালপাতার রাখীও একদিন ব্যবহার করার পরে ফেলে দিলে তা মাটির সঙ্গে মিশে যেতে কোন অসুবিধা হবে না। এবার আমরা পাট দিয়ে রাখী বানিয়েছি।গতবছর তালপাতার রাখীর চাহিদা ভীষণ রকম হয়েছিল। এবারও পাট দিয়ে তৈরি রাখীর ভীষণ চাহিদা রয়েছে। মানুষের কেনার সাধ্যের মধ্যেই দাম রাখা হয়েছে।প্রতিটি রাখীর দাম এবার মাত্র দশ থেকে কুড়ি টাকা করে রাখা হয়েছে।’
ওই স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদক অসীম কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন,’ আমাদের স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বিভিন্ন রকম কাজ করে থাকেন। তার মধ্যে অন্যতম হল রাখী তৈরি করা। এর আগে কচুরিপানা এবং তাল পাতা দিয়ে তারা রাখী তৈরি করেছিলেন ভালো রকম চাহিদা হয়েছিল। এবছর আমাদের স্বয়ংভর গোষ্ঠীর মহিলারা পাট দিয়ে রাখী তৈরি করেছেন। এবারের পাটের তৈরি রাখীর ভীষণ রকম চাহিদা রয়েছে।’অন্যদিকে এই সমবায় সমিতির অন্যতম উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের নদীয়াকে গর্বের স্থানে এনে দিয়েছে চন্দননগর এল.এস গোষ্ঠীর মহিলারা রাখী বানিয়ে।আমরাও গর্বিত তাদের এই প্রচেষ্টা ও কাজের জন্য।আমরাও এদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।
