ফুড সাব ইন্সপেক্টরের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। অভিযোগকারী যুবক কখনো পরীক্ষাতেই বসেন নি।করেননি ফর্ম ফিলাপ।কিন্তু ওয়েবসাইটে সফলদের তালিকায় তার নাম।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত এক শিক্ষকের কারসাজিতে এই ধরনের জালিয়াতি।চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ মালতিপুরের বাসিন্দা গোলাম সারোওয়ার আলম সিদ্দিকী।

অভিযোগকারী দাবি,নদীয়া জেলার ভীমপুরের বাসিন্দা পরিমল কুন্ডু ২০১৭ সাল নাগাদ চাঁচলের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ-শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তার সঙ্গে পরিমল কুন্ডুর পরিচয় হয়। পরিমল তাকে প্রলোভন দেন ২০১৮ সালের ফুড সাব ইন্সপেক্টরের পরীক্ষায় তার চাকরি করে দেবে। পরিবর্তে তাকে চাকরি হওয়ার পর সাত লক্ষ টাকা দিতে হবে।পরিমল আরো বলে তিনিও এইভাবে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন। আরো অনেককেই চাকরি করে দিয়েছেন।প্রমাণ স্বরূপ বেশ কিছু ব্যক্তির জয়নিং লেটারও দেখান।সেই সময় অভিযোগকারী তাকে বলেন তিনি তো পরীক্ষাতে বসেননি। সেক্ষেত্রে কিভাবে তিনি চাকরি করবেন। কিভাবে ওয়েবসাইটে তার নাম দেখাবে।অভিযুক্ত দাবি করেন সেটাও সম্ভব হবে।

তারপর এই চলতি মাসের ১৪ তারিখে অভিযোগকারীর চক্ষুচড়ক গাছ হয়ে যায়। পরিমল কুন্ডুর সহযোগী পরিচয় হচ্ছে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে অভিযোগকারীর কাছে। জানানো হয় ফুট সাব ইন্সপেক্টরের ২০১৮ সালের তালিকায় তার নাম উঠে গেছে।দেওয়া হয় একটি রোল নম্বর।অভিযোগকারী চেক করে দেখে হতবাক হয়ে যান। পরবর্তীতে পরিমল কুন্ড এবং আরো বেশ কয়েকটি নাম্বার থেকে আধিকারিকদের পরিচয় দিয়ে বারবার ফোন আসে অভিযোগকারীর কাছে। তার কাছে টাকার দাবি করা হয়। তিনি অবৈধ উপায়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি করতে অস্বীকার করলে। অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ এবং হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

শুক্রবার সমগ্র ঘটনা নিয়ে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ওই যুবক।গোলাম সারোয়ার আলম সিদ্দিকী এই প্রসঙ্গে বলেন,” মাঝে ঈদের জন্য আমি অভিযোগ করিনি।আজ স্বেচ্ছায় এসে অভিযোগ করলাম। এই পরিমল কুন্ডুর সঙ্গে আরো বেশ কয়েকজন রয়েছে। আমি বারবার বলছি আমি এইভাবে চাকরি করতে চাই না। কিন্তু তারা আমার কাছে টাকার দাবি করছে এবং হুমকি দিচ্ছে। আমি কোন রকম পরীক্ষা দিয়নি। এরা এই ভাবে অনেক চাকরি করিয়েছে বলে দাবি করেছে। আমি চাই পুলিশের তদন্ত করে এই দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করুক। তদন্তের জন্য আমি সমস্ত রকম সহযোগিতা করব।”

ফোন মারফত অভিযুক্ত পরিমল কুন্ডুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার বক্তব্য,” অভিযোগ ভিত্তিহীন মুহূর্তে এটাই বলব।” যদিও কেন তার নাম এল। কেন এই ধরনের অভিযোগ উঠে আসলো। এই নিয়ে কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

18 − sixteen =