পুজোর আগেই বিহার সীমান্ত দিয়ে পাচারের সময় ৫ লক্ষ টাকার বেআইনি মদ উদ্ধার পুলিশের, গ্রেপ্তার ১, জেলায় প্রথম একসাথে এত টাকার বেআইনি মদ উদ্ধার, প্রশংসা জেলা পুলিশ সুপারের। পুজোর আগে পাঁচ লক্ষ টাকার বেআইনি মদ উদ্ধার। বিহারে পাচার করতে গিয়ে সেই মদ উদ্ধার করল পুলিশ। জেলায় এই প্রথম এত টাকার বে-আইনি মদ উদ্ধার। গ্রেপ্তার ১। বেআইনি মদ উদ্ধার করলো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ভালুকা ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ঝোটন প্রসাদের নেতৃত্বে চলে অভিযান। সেই অভিযানেই বিহারে পাচারের আগেই নজির বিহীন ভাবে পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মদ বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। এক সঙ্গে এত টাকার বেআইনি মদ উদ্ধার জেলার এই প্রথম বলে দাবি পুলিশ প্রশাসনের। মদ পাচার করতে গিয়ে গ্রেপ্তার ১। প্রায় এক হাজার বোতলের বেশি মদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধৃত ওই যুবকের নাম বমবম কুমার (২৫)। বাড়ি কাঠিহার জেলার ডুমুরিয়া বিশনপুর এলাকায় বাড়ি। সোমবার ভোর বেলায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিহার সীমান্তবর্তী ভালুকা এলাকা থেকে একটি পিকআপ ভ্যান বোঝাই হয়ে বে-আইনি মদ ভর্তি গাড়ি ফতেপুর হয়ে বিহারের দিকে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত অফিসার ঝোটন প্রসাদের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী মদ বোঝাই গাড়িটিকে তাড়া করে ভালুকা বিহার গামী রাজ্য সড়কে পাকড়াও করা হয়। উদ্ধার করা হয় ১৫১১ টি বিলাতি মদের বোতল আর ৫২৮ টি মদের পাউচ। পুজোর মরসুমে বিহারে পাচার করার উদ্দেশ্যেই বে-আইনি ভাবে এই বিদেশী মদ গাড়ি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিহারের দীর্ঘদিন থেকেই মদ নিষিদ্ধ। তাই বিহারের সূরা প্রেমীরা মদের জন্য সীমান্তবর্তী এলাকা পশ্চিমবঙ্গের হরিশ্চন্দ্রপুরের ওপর ভরসা করে থাকে। তবে একসঙ্গে এত টাকার মদ উদ্ধার জেলায় এই প্রথম।
এ প্রসঙ্গে ভালুকা ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ঝোটন প্রসাদ জানিয়েছেন আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বাঁধ রোড এলাকার বটতলীতে ওই গাড়িটিকে আটক করি এবং সেই গাড়ি থেকে বেআইনি মদ উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বিহার সীমান্ত দিয়ে বারবার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম ঘটে। ফলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সবসময় সচেতন থাকে সীমান্ত এলাকায়। আর সামনেই পুজো ফলে এই মুহূর্তে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে বাংলা বিহার সীমান্তে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এই সাফল্যের প্রশংসা করেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন।