পুজোর প্রাক্কালে রতুয়া থানা এলাকার বিভিন্ন দোকানে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের অভিযান, খতিয়ে দেখা হলো ফুড লাইসেন্স থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। মিষ্টির দোকান, খাওয়ারের দোকান হোটেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন রেস্তোরাতে পুলিশকে সাথে নিয়ে যৌথ অভিযান চালায় খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন মহকুমার খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক ডক্টর রাহুল কুমার মন্ডল। শুক্রবার মূলত রতুয়া থানার অন্তর্গত রতুয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকার বিভিন্ন দোকানে যায় খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর এবং সঠিক উপায়ে খাদ্য প্রস্তুত হচ্ছে কি না, দোকান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকছে কিনা সাথে দোকানগুলির ফুড লাইসেন্স আছে কিনা সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হয়। যাদের লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন নেই তাদের নির্দিষ্ট সময় সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। প্রত্যেকটি দোকান ফুড লাইসেন্সের আওতায় আসার পর হাইজিন রেটিং করা হবে বলে জানা যায় খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর সূত্রে। এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য যাতে প্রত্যেকটা খাওয়ারের দোকানে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয়। নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর উপায় খাদ্য প্রস্তুত করা হয়। কারণ সচরাচর দেখা যায় রাস্তার ধারে বিভিন্ন দোকানে খাওয়ার আঢাকা পড়ে থাকে। সামনেই দুর্গাপুজো। স্বাভাবিক ভাবে রেস্তোরাঁ হোক বা মিষ্টির দোকান বছরের অন্য সময়ের তুলনায় মানুষের ভিড় থাকবে অনেক বেশি। তাই পূজোর প্রাক্কালেই জেলা জুড়ে অভিযান চালাচ্ছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর। এর আগে চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, গাজোল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হয়। আজ শুক্রবার রতুয়া সদর এলাকার বিভিন্ন দোকানে চলে অভিযান। পরবর্তীতে রতুয়া থানা এলাকার গ্রামীণ এলাকাগুলোতে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর সূত্রে।
খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক ডক্টর রাহুল কুমার মন্ডল বলেন, সারা জেলা জুড়ে এই অভিযান চলছে। আমাদের লক্ষ্য প্রত্যেক দোকানকে ফুড লাইসেন্স এর আওতাতে আনা। তাহলে সকলকে খাদ্য সুরক্ষা আইন মেনে চলতে হবে। মূলত খাদ্য প্রস্তুত হয় যে জায়গাগুলোতে সেখানেই আমরা যাচ্ছি। যাতে স্বাস্থ্যকর উপায় মেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হয় সেই দিকে জোর দিচ্ছি।