পুলিন হত‍্যা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সহ ,৩ জন গ্রেফতার।

পুলিন হত‍্যা ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মূল অভিযুক্ত সহ ,৩ জন গ্রেফতার।

পুলিন হত্যার রহস্যে নয়া মোড়।গত একমাস আগে ছক কষেছিল মূল অভিযুক্ত বুদ্ধেশ্বর।উঠে আসছে জমি দখলের লড়াই।বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁ থানার বামনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে চাঁদার জুলুমের প্রতিবাদীকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বুদ্ধেশ্বর মন্ডল, কালো সোনা মন্ডল, লক্ষীকান্ত মন্ডল।এই তিনজনকে বামনপুকুর রাজেন্দ্রপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।পুলিশ আধিকারিক সিদ্ধার্থ মন্ডল এর নেতৃত্বে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।পুলিশের জেরায় তারা স্বীকার করেন পরিকল্পনা করেই বছর ৩২ এর পুলিন মন্ডলকে খুন করেছে।বৃহস্পতিবার ৩ঢ়দুষ্কৃতীকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়।তাদেরকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন বিচারকের কাছে।পুলিশের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে‌। এই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল গত ১ মাস আগে। এলাকায় বহু প্রাচীন একটি মেলা হয়।সেই মেলাকে সামনে রেখে পুলিনকে কিভাবে রাতের অন্ধকারে বাড়ি থেকে ডেকে এনে নির্জন জায়গায় লোহার রড ও বাঁশ,লাঠি মজুত করে আরো বাকি দুই দুষ্কৃতী লক্ষীকান্ত মন্ডল, কালো সোনা মন্ডল দাঁড়িয়ে থাকবে।ছক কষেছিল মূল অভিযুক্ত বুদ্ধেশ্বর মন্ডল। চাঁদার জুলুমের প্রতিবাদ করলেই মেলা কমিটির ওপর দায় চাপিয়ে তাকে পরিকল্পনা করে মারা হবে।এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের কাছে এই খুনের কিনারা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।কারণ একদিকে চাঁদার জুলুম অন্যদিকে পুলিশের মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতাল নিহত পুলিন মন্ডলের হেফাজতে থাকা ট্রাস্টের প্রায় ৯ বিঘা জমি।সেখানেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত।বুদ্ধেশ্বর এর নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী জোর জবর দখল করে ভোগ করে ব্যবসা করছে। বুদ্ধেশ্বরের পরিবারের লোকের সঙ্গে নিহত পুলিনের পরিবারের লোকের এই নিয়ে বচসা, গন্ডগোল।একাধিকবার সালিশি সভা হলেও কোনো সমাধান সূত্র বেরোয়নি। তারপর একটা খুন। তিনজন দুষ্কৃতীকে বসিরহাট মহকুমার আদালতে তোলার পর এবংপুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর জানা যাবে এই খুনের মূল কারণ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 3 =