পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে শ্রদ্ধাপূর্বক প্রভাতী তর্পণ হয় মহালয়ায়। সূর্যদেবের দিকে মুখ করে গঙ্গার বক্ষে গঙ্গার জলে নৈবেদ্য দান করার মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের তুষ্টিকরণ। এই সময় তাঁদের বিদেহী আত্মা নাকি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে। হিন্দু মতে মহালয়ার তর্পণের মধ্যে দিয়ে পূর্ব পুরুষগণের শাপ মোচন হয় যদি তারা কখনও পৃথিবীর বায়ুস্তরে আটকে থাকে। ভূত-প্রেত থেকে যমরাজের যমালয় থেকে শাস্তি ভোগ করে এবং পাপের ফল ভোগ করার পর মোক্ষ লাভ করে স্বর্গদ্বারে যায়। তারপর পুনর্জন্ম হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি মহালয়ার ভোরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক ঘাটে তর্পণের উদ্দেশ্যে ভিড় জমায় সাধারণ মানুষেরা। তর্পণের সময় সেভাবে জল না থাকার ফলে তর্পণ করার সময় কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন রূপনারায়ন নদীতে আসা মানুষজনেরা ।
যাতে কোন সমস্যা না হয় সেই কারণেই ভোর থেকেই নদীর পারে ছিল পুলিশী মোতায়েন,পাশাপাশি পৌরসভার তরফ থেকে নদীর পাড়ে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বানানো হয়েছে অস্থায়ী শৌচালয়।