অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি আলো দিয়ে সাজিয়েছিলেন,রাজ্য দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে নিজেকে পরিচিত করেছিলেন তিনি। আলোর শহর চন্দননগরে অন্ধকার আজ ! প্রয়াত বিখ্যাত আলোকশিল্পী বাবু পাল।
পুজো এলেই কর্মব্যস্ত হয়ে ওঠে চন্দননগর পঞ্চাননতলার বাবু পালের আলোর ষ্টুডিও। প্রতি বছরই নতুন নতুন আলোর জাদু ,নতুন কিছু সৃষ্টি ছিল বাবু পালের আলোর আকর্ষণ। সেই আলোক শিল্পী প্রয়াত হলেন ৬৪ বছর বয়সে। তিন বছর ধরে দুরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগছিলেন। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার গভীর রাতে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন।অসুস্থ হওয়া পর থেকেই তার স্ত্রী চিত্রলেখা পাল আলোর কাজ দেখাশোনা করেন।
জানা যায় ,দীপাবলিতে বিগ বি অমিতাভ বচ্চনের মুম্বইয়ের বাড়ি সাজানোই হোক অথবা দুবাইয়ে শপিং ফেস্টেবেল,প্যারিসে বাবু পালের ডাক পড়তো। কলকাতার একাধিক নামী দুর্গা পুজো কমিটি বাবু পালের আলোতেই সেজে ওঠে।কলকা আর টুনি বাল্বের আলোর বিবর্তন ঘটিয়ে এলইডি আলো দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তাতে সফল হয়েছিলেন বাবু পাল।প্রতিবছর সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ওপর থিমের আলো তৈরি করে তাক লাগাতেন।
আলোক শিল্পীর শেষ যাত্রায় তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন চন্দননগরের আলোক শিল্পীরা।করপোরেশনের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল,কাউন্সিলর সহ চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্য ও শহরের অনেকেই।মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন,বাবু পাল নেই কিন্তু তার কাজ থেকে যাবে।চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন,’শিল্পীর কখনো মৃত্যু হয় না।বাবু পাল অনেক কষ্ট করে নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন।চন্দননগরে শ্রীধর দাসের হাত ধরে যেমন অনেক শিল্পী তৈরি হয়েছেন।বাবু পালের হাত ধরে অনেক শিল্পী এসেছেন।তারা আগামী দিনে চন্দননগরের আলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।বিশ্বের দরবারে চন্দননগরের আলোকে পৌঁছে দিয়েছিলেন বাবু পাল।’