বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ থানার বরুনহাট গ্রামের ঘটনা।বছর ১৪ এর নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের ঠিক হয়েছিল প্রতিবেশী সর্দার পাড়ার যুবক সেলিম মোল্লার সঙ্গে।পেশায় শ্রমিকের কাজ করেন।রবিবার দুপুর বেলা বিয়ের সব কিছু আয়োজন প্রস্তুত।বাড়িতে আত্মীয় জমজমাট পরিবেশ।কিন্তু এই বিয়েতে স্বয়ং ছাত্রী নিজেই রাজি নন।সে পড়াশোনা করতে চায়, তাই হাসনাবাদ থানার পুলিশ প্রশাসনের কাছে টোল ফ্রি ১০০ নম্বর ডায়াল করে বিস্তারিত জানান।এই ঘটনা জানার পরে হাসনাবাদ বিডিও মুস্তাক আহমেদ হাসনাবাদ থানার পুলিশ আধিকারিক মকবুল গাজীর নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই বিয়ে বন্ধ করে দেয়।মেয়ের বাবা জিয়াদ মোল্লার কাছ থেকে মুচলেকা নেন।নাবালিকাকে পড়াশোনা করানোর জন্য সবরকম ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে প্রশাসন তাদের পাশে আছে।ছাত্রীর এই সাহসিকতার পরিচয় দেখে বরুনার হাইস্কুলের ছাত্রীর অন্যান্য সহপাঠীরা তাকে বাহবা দিয়েছেন।আগামী দিনে সুন্দরবনে বাল্যবিবাহ রোধে এই ছাত্রীর ভূমিকা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তা বলাই বাহুল্য।ছাত্রী যতদিন পড়াশুনো করতে চায় ততদিন তাকে তার বাবা-মা বিয়ে দেবে না বলে লিখিত জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
Home জেলা