ফের বিতর্কের শিরোনামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড।
কোনো হাসপাতাল গুরুতর জখম এক ব্যাক্তিকে ভর্তি না নেওয়ায় মৃত্যু ঐ ব্যাক্তির । প্রায় চোদ্দ ঘন্টার টানাপোড়েন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পরিষেবা না পাওয়াতে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হলো এক ব্যাক্তির। মৃতের নাম নির্মল মন্ডল। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা এরপর মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রেখে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করলো। রবিবার ভোর রাত থেকে দুর্গাপুরের জব্বরপল্লীতে এই রাস্তা অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজট তৈরী হয়। বছর ৬২র নির্মল মন্ডল গতকাল দুপুর বারোটা নাগাদ জব্বরপল্লী তে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন,ইস্পাত নহরীর আশিস মার্কেটে একটি ঘড়ির দোকান আছে নির্মলবাবু, শনিবার দুপুরে দোকান বন্ধ করে যখন জব্বরপোল্লিতে নিজের বাড়ী ফিরছিলেন নির্মল মন্ডল ঠিক তখন একটি মোটর বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে সাইকেল আরোহী নির্মল মন্ডলকে। এরপর থেকে শুরু হয় নাটক,প্রথম দুর্গাপুর মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নির্মল মন্ডলকে, সেখান থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়, সেখান থেকে পাঠানো হয় অনাময় সরকারী সুপারস্পেসিলাটি হাসপাতালে, সেখান থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় ফের তাকে দুর্গাপুরে নিয়ে আসে, একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে যায়, অভিযোগ স্বাস্থ্য সাথির কথা শুনে কোনো হাসপাতাল নির্মল মন্ডলকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ, শেষে ভোর তিনটে নাগাদ মারা যান নির্মল মন্ডল। এরপর উত্তেজিত জনতা মৃতের ক্ষতিপূরণ আর এলাকার ব্যাস্ততম রাস্তায় বাম্পার আর ট্রাফিকের দাবিতে জব্বরপল্লী রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে, আটকে পড়ে সমস্ত যানবাহন। মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভে সামিল হয় উত্তেজিত জনতা।দুর্ঘটনাস্থল কোনো থানা এলাকায় পড়ে এই নিয়ে শুরু হয় দুর্গাপুর থানা ও লাউদোহা থানার দড়ি টানাটানি, আর এর জেরে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায় অবরোধের জেরে ।