বিজেপির অভিযোগ মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল অভিষেককে।তৃণমূলের দাবি, যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে কোনো অভিযোগ করা উচিত ছিল।
হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ড কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা অভিষেক চৌধুরী(২৮)।এদিন ভোর রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন।মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে বিজেপি কর্মী অভিযোগ করেন,তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়।তিনি বিজেপি করেন বলেই তিনি অত্যাচারিত।স্থানীয় ‘আমরা কজন’ ক্লাবের সম্পাদক কুনাল সরকারের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ। তাকে ভয় দেখানো হয়েছে তার পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।তার সেই লাইভ ভিডিও দেখে বন্ধুরা সকালবেলা তার বাড়িতে হাজির হয়।অভিষেকের পরিবার তখনো জানতো না কি ঘটনা ঘটে গেছে।এরপর দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এ বিষয়ে স্থানীয় ক্লাব সম্পাদক কুনাল সরকার মুখ খুলতে নারাজ।তবে ওই ক্লাবের সদস্য পঙ্কজ দাস বলেন,”কুনাল অত্যন্ত ভাল ছেলে আর এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সে যুক্ত নয়।কি হয়েছিল,অভিষেক যে অভিযোগ করছে তা আমরা জানিনা।আমাদের ক্লাবের সঙ্গে ওর দাদা যুক্ত।”
বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন,”অভিষেক হুগলি মন্ডলের দীর্ঘদিনের পুরনো কর্মী ছিলেন।আমরা জানতে পেরেছি ওকে কয়েক দিন ধরে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল।আমরা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন করব ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।”
ফেসবুক লাইভে অভিষেক চুঁচুড়ার বিধায়কের কাছেও বিচার চেয়েছেন।চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন,”বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম যেকোনো দল করা গণতান্ত্রিক অধিকার।কেউ বিজেপি করলে তাকে যদি কেউ হুমকি দিয়ে থাকে সেটা খুবই লজ্জাজনক।এটা ঘটা উচিত নয়।যে কোন দলের কোন মানুষ যদি আমার সাহায্য চেয়েছে আমি তার পাশে দাঁড়ায়নি এমনটা হয়নি।দল আমার তৃণমূল কিন্তু আমিতো বিধায়ক সবার।যদি কেউ হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে উচিত ছিল থানায় অভিযোগ করা। থানায় অভিযোগ হয়েছিল কিনা আমি জানিনা।আর আমি বিধায়ক হিসেবেও আমার কাছে কেউ এসে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।যেকোনো মৃত্যুই দুঃখজনক আমি ওর পরিবারের পাশে আছি।”
অভিযুক্ত ক্লাব সম্পাদক কুনাল সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ধৃতের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু হয়েছে।