বহরমপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাগেড়ের ধারে ৩৭ জন ব্যবসায়ীর নতুন দোকান ঘর নির্মাণ নিয়ে শুরু হল আইনি জটিলতা।
বহরমপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাগেড়ের ধারে ৩৭ জন ব্যবসায়ীর নতুন দোকান ঘর নির্মাণ নিয়ে শুরু হল আইনি জটিলতা। শনিবার ওই এলাকা পরিদর্শন করলেন বহরমপুর পৌরসভার সরকারি আধিকারিকেরা। পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসারের দাবি, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ওই এলাকার একটি সাতবিঘে পুকুরের সামনে ৩৭ জন ছোট দোকানদার অস্থায়ী দোকান করে চালাচ্ছিলেন। ওই সাত বিঘে পুকুরের মধ্যে তিন বিঘে এলাকা ভরাট করার কারণে পুরসভা তদন্ত করতে শুরু করেছিল । তাছাড়া স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য বহরমপুর পৌরসভার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন ওই পুকুরের সামনের দোকান দাররা। এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠন নিজেদের উদ্যোগে পুরনো দোকানঘর ভেঙে নতুনভাবে দোকান করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ওই পুকুর মালিক হাইকোর্ট করে দেওয়ায় আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে পুকুর মালিক এনায়েত হোসেন বলেন, কর্মসূত্রে তারা জেলার বাইরে থাকার কারণে তাদের নিজস্ব পুকুরের সামনে অবৈধভাবে দোকানগুলি গজিয়ে উঠেছিল। নতুন করে স্থায়ী বন্দোবস্ত করার বিষয়টি জানতে পেরে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।তাছাড়া ঐ পুকুর ভরাট তাঁদের অনুপস্থিতে কে বা কারা করেছে সেটা তিনি জানেন না । অন্যদিকে ওই এলাকার ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক সিদ্ধার্থ রায় বলেন, তারা দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ওই এলাকায় ব্যবসা করছেন। ফলে তারা পুনর্বাসনের দাবি করছেন। মোট ১৪০ কাঠা জায়গার মধ্যে মাত্র চার কাঠা জায়গার তারা দাবি করছেন। দূর্গা পূজার আগে দরিদ্র ব্যবসায়ীরা যাতে দোকান খুলতে পারেন সেই আবেদন করছেন তারা।