বাংলাদশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ। বাংলাদেশের হাইকোর্ট খারিজ করে দিল আবেদন। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি। বাংলাদেশে ISKCON-কে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে আবেদন জমা পড়ে আদালতে। ISKCON-কে ধর্মীয় মৌলবাদী সংস্থা বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারও। তবে আজ সেই আর্জি খারিজ হয়ে গেল।

সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এর পরই ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে বাংলাদেশে। সেই নিয়ে আজ আদালতে নিজেদের অবস্থানও জানায় মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। হিংসা, অশান্তি রুখতে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত, আদালতে জানায় তারা। তবে ISKCON-কে নিষিদ্ধ করার পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলেনি বাংলাদেশের সরকার।এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদউদ্দিন। বিচারপতি পারহা মাহবুব এবং দেবাশিস রায় চৌধুরীর বেঞ্চে সরকার কী কি পদক্ষেপ করেছে, তার ব্যাখ্যা দেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল। সরকার কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে বলে তিনি জানান।

চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির পর বাংলাদেশে ইসকনের তরফে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন চিন্ময়কৃষ্ণের অনুরাগীরাই। চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ পথে নেমেছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল যে ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হোক। এরপর বাংলাদশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 + two =