বেশ কিছু দিন ধরে বনবিভাগের কাছে খবর আসছিল সুন্দরবনের নদী খাড়িতে মাছ ধরতে যাওয়া মৎস্য জীবিদের নৌকায় ডাকাতি হচ্ছে। তাদের মারধর করছে এবং সর্বষ্য লুট করছে বলে অভিযোগ উঠছিলো। এমন ঘটনার পর রীতিমতো নড়েচড়ে বসে বনবিভাগ। গোসাবা রেঞ্জ অফিসার ও ট্রেনি রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে বনকর্মীরা ডাকাত ধরতে সমুদ্র সংলগ্ন গভীর জঙ্গলে অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালীন গোসাবা রেঞ্জের চাঁদখালী টু কম্পার্টমেন্টের কাছে জঙ্গল সংলগ্ন খাড়িতে জলদস্যুদের নৌকা দেখতে পায়। ধাওয়া করতেই নৌকা থেকে জলদস্যুরা লাফিয়ে গভীর জঙ্গলে ঢুকে যায়। সাথে সাথে বনকর্মীরা স্পীড বোট ছেড়ে বাঘের ডেরায় গভীর জঙ্গলে ডাকাতদের পিছু নেয়। বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে জলদস্যুদের সঙ্গে লড়াই চলে। একদিকে বাঘের ভয় অন্য দিকে ডাকাতদের আক্রমণ, তার মধ্যে ৪ কিমি গভীর জঙ্গলের ভিতর থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বনকর্মীরা ২ জন জলদস্যুকে ধরে ফেল। বাকি ৫ জন গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে ধৃত দুজন আজিজ সরদার ও আব্দুল গফফার হাওলাদার, বাড়ি বাংলাদেশের সাতখিরা জেলায়। তাদের কাছ থেকে দুটি নৌকা, একটি বন্দুক, দা এবং হরিণের সিং ও ৮ টি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে ৬ টি কাকড়া ধরা নৌকা ও একটি মাছের নৌকায় ডাকতি করেছে। ধৃতদের আজ আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। অন্যদিকে বাকি জলদস্যুদের ধরতে সুন্দরবনের চাঁদখালি জঙ্গল বনবিভাগ ঘিরে রেখে চিরনি তল্লাশি শুরু করেছে বনকর্মীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × two =