বিয়ের দাবিতে ধর্ণায় সিভিক ভলান্টিয়ার।
বিয়ের দাবিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিলালপুর গ্রামে। মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের অভিযোগ, বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে আর বিয়ে করতে চাইছেনা কালিয়াগঞ্জ থানায় কর্মরত এক সিভিক ভলেন্টিয়ার। বিয়ে করার দাবি নিয়েই ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার শ্যামাপদ সরকারের বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেন ।এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়।গত কয়েকদিন ধরে গঙ্গারামপুরের মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার বিমলা দেবশর্মার সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে মেলামেশা করে কালিয়াগঞ্জ থানার কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার শ্যামাপদ সরকার। বিমলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘনিষ্ট সম্পর্কে জড়ায় তারা দুজন। এরপর বিমলা জানতে পারে তাকে ছেড়ে শ্যামাপদ অন্য একটি মেয়ের সাথে বিয়ের রেজেষ্ট্রি করে। এরপরই বিমলা গঙ্গারামপুর থেকে ছুটে আসে শ্যামাপদর বাড়ি দিলালপুর গ্রামে। তাকে বিয়ে করতে হবে এই দাবিতে শ্যামাপদর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসে পড়ে বিমলা নামের সিভিক ভলেন্টিয়ার। এদিকে শ্যামাপদর বাড়ির লোকজন বিমলাকে তাদের বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। শ্যামাপদর পরিবার জানিয়েছে, তারা শ্যামাপদর জন্য পাত্রী হিসেবে বিমলাকে দেখতে গিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু শ্যামাপদর বিমলাকে পছন্দ হয়নি তাই এই সম্পর্ক নিয়ে বেশিদূর এগোয়নি। এদিকে বিমলার অভিযোগ, পাত্রী হিসেবে দেখে আসার পরই ফোনে ও বেশ কয়েকবার তাদের দুজনের মধ্যে কথাবার্তা হয় এবং ঘনিষ্ঠতাও হয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয় শ্যামাপদ। এরপরই তাকে কিছু না জানিয়ে অন্য একটি মেয়ের সাথে বিয়ের রেজেষ্ট্রি করে শ্যামাপদ। বিমলা জানায় সে শ্যামাপদকেই ভালোবাসে তাকেই বিয়ে করে সংসার করতে চায়। তাই শ্যামাপদর বাড়িতে ধর্নায় বসেছে। যতক্ষন না শ্যামাপদ বিয়ে করছে ততক্ষন ধর্নায় বসে থাকবে সে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় কালিয়াগঞ্জের দিলালপুর গ্রামে।