শনিবার বেলা গড়াতেই কলকাতায় আকাশের মুখ ভার হল। দুপুরের দিকেই নিভে গেল দিনের আলো। বিকেল চারটেয় তো সন্ধ্যার আকাশ যেন। শহরের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিও হয়ে গেল দু এক পশলা। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হল ইডেন (Eden Gardens) চত্বরেও।
গোটা মাঠ ঢাকা সাদা প্লাস্টিকের কভারে। আইপিএলে শনিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (KKR) বিরুদ্ধে ম্যাচই ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্সের শেষ দ্বৈরথ। ইডেনের কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। গোটা মাঠ ঢেকে রেখেছেন কভারে। যাতে বৃষ্টি থামলে সুপার সপার চালিয়ে দ্রুত কভারের ওপরের জল শুকিয়ে ফেলা যায়। আর কভার সরিয়ে শুরু করে দেওয়া যায় ম্যাচ। তবে বৃষ্টি যদি চলতে থাকে? যদি সময়ে টস করা না যায়? ম্যাচের বল যদি সময় মেনে না গড়ায়? কতক্ষণ অপেক্ষা করা হবে? কী বলছে নিয়ম?
এমনিতে আইপিএলে সন্ধ্যার ম্যাচ মানে সাতটায় টস হয়। তার আধ ঘণ্টা পরে, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় খেলা শুরু হয়। তবে বৃষ্টি বাদ সাধলে শনিবার নির্ধারিত সময়ে টস বা ম্যাচ শুরু করা যাবে না।
আইপিএলের নিয়ম বলছে, ম্যাচের ফলাফল করতে অন্তত পাঁচ ওভার করে দুই ইনিংস মিলিয়ে দশ ওভারের ম্যাচ করতেই হবে। শনিবার যদি বৃষ্টির জন্য পুরো ২০ ওভার খেলা না হয়, যদি অন্তত পাঁচ ওভার করে ম্যাচ করাতে হয়, তার জন্য রাত ১০.৪১-এ টস করতে হবে। সেক্ষেত্রে ম্যাচ শুরু হবে রাত ১০.৫৬ মিনিটে। ম্যাচ শুরু হওয়ার জন্য যে সময় নির্ধারিত, তার অন্তত এক ঘণ্টার মধ্যে ম্যাচ শুরু করা না গেলে ওভার সংখ্যা কমতে শুরু করবে।
আইপিএলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে একটি ঘটনায়। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা (Sanjiv Goenka) মাঠের ধারেই ভর্ৎসনা করছেন দলের অধিনায়ক কে এল রাহুলকে (KL Rahul) – সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দৃশ্য ভাইরাল। গোয়েঙ্কার সমালোচনায় সরব সব মহল। কে এল রাহুলের দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া উচিত কি না, তা নিয়েও জোর জল্পনা।
আর এই পরিস্থিতিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR vs MI) শিবিরে ঢুঁ মারলে মনে হবে, ভিন গ্রহে এসে পড়েছেন। টিম মালিককে নিয়ে মুগ্ধ ক্রিকেটারেরা। দলের যার সঙ্গেই কথা বলুন না কেন, নির্যাস হচ্ছে, আরও ভাল খেলার অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে মালিকের কাছ থেকেই।
শাহরুখ খানকে (Shah Rukh Khan) নিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ কেকেআর শিবির। যিনি নাকি দলের সকলকে আলাদা আলাদা করেও বলে দিয়েছেন যে, হার-জিত তো ম্যাচের অঙ্গ। চাপ নিও না। চাপমুক্ত থেকে মাঠে নামো। মনে করো, আর একটা ম্যাচ খেলতে নামছো। জেতা-হারা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে হবে না। তাতে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়ে। খোলা মনে খেলো।