বামেদের পাখির চোখ এবার ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন। রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিরাট সমাবেশ সিপিআইএমএর।তবে এবার সমাবেশের ডাক দিয়েছে বামপন্থী চারটি গণসংগঠন, শ্রমিক, কৃষক, ক্ষেতমজুর এবং বস্তিবাসী। মেহনতি মানুষদের একত্রে করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মিছিল ব্রিগেডমুখী হবে এদিন। উত্তরবঙ্গ ও রাজ্যের অন্যান্য প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই মানুষজন এসে পৌঁছেছেন। সভার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে রাস্তাঘাটে বিশেষ নিরাপত্তা এবং যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রখর রোদের কথা মাথায় রেখে বেলা তিনটেয় সভা শুরু হবে। সভায় মোট ছ’জন বক্তা থাকলেও, চমকপ্রদভাবে তালিকায় নেই বাম শিবিরের ভিড় টানার অন্যতম মুখ, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা সে অর্থে অন্য কোনও বড় মুখ। তবে থাকছেন মহম্মদ সেলিম।
সভাকে কেন্দ্র করে একেবারে পেশাদার ডিজিটাল প্রস্তুতি নিয়েছে আলিমুদ্দিন। সভার প্রতিটি মুহূর্ত রেকর্ড ও সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হবে আটটি ক্যামেরা, একটি ড্রোন । সিপিআইএমের নিজস্ব ডিজিটাল টিমের সদস্যরাও থাকছেন মাঠে—মোট ৩০ জনের দল কাজ করবে ভিডিও ও ছবি তোলার জন্য। সংবাদমাধ্যমে ‘লাইভ ফিড’ দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন বামেরা। এতদিন সাধারণত তৃণমূল বা বিজেপির বড় কর্মসূচিতে দেখা যেত এইসব। ২৬-এর আগে বামেরাও কোমর বেঁধে মাঠে নামছে।এমনটাই জানা যাচ্ছে।
গত বছরের মতো এবারও সভার মঞ্চ তৈরি হয়েছে শহিদ মিনারের দিকে মুখ করে। তবে মেট্রোর কাজের জন্য কয়েকশো মিটার এগিয়ে মঞ্চ তৈরি করতে হয়েছে, ফলে কিছুটা ছোট হয়েছে মূল মাঠের এলাকা। মঞ্চটি তিনটি ধাপে বিভক্ত এবং মাঝখানে থাকবে বক্তৃতার জন্য ‘পোডিয়াম’। মঞ্চের পেছনে বসানো হয়েছে প্লাইউড দিয়ে ঘেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অস্থায়ী প্রোডাকশন কন্ট্রোল রুম যেখান থেকে সমস্ত ক্যামেরা, ড্রোন ও অন্যান্য প্রযুক্তি পরিচালনা করা হবে।
তথ্য সূত্রে জানা যায় সভায় যাঁরা বক্তব্য রাখবেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কৃষকসভার অমল হালদার, খেতমজুর সংগঠনের নিরাপদ সর্দার ও বন্যা টুডু, বস্তি উন্নয়ন সমিতির সুখরঞ্জন দে, সিটুর অনাদি সাহু এবং সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এই তালিকায় কেবল সেলিমকেই ‘বড় মুখ’ হিসেবে চেনা যায়, বাকিরা তুলনায় কম পরিচিত।এবং হাওড়া, শিয়ালদহ, হেস্টিংস, এক্সাইড মোড়, সুবোধ মল্লিক স্কয়্যার, পার্ক সার্কাস, মৌলালি এবং সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন থেকে ব্রিগেডের উদ্দেশে মিছিল বের হবে। শহরে যানবাহনের চাপ তুলনায় কম থাকলেও, লালবাজার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোতায়েন থাকবে বাহিনী। যান চলাচল ও পার্কিং নিয়ন্ত্রণে থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা। উপস্থিত থাকবেন উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরাও।