পূর্ব বর্ধমানের কালনার কোয়ালডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সাব মেজর ৬২ বছরের নরেশ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ভারতের বর্তমান পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য ডাকলে তিনি ভারত মাতার জন্য এখনো যুদ্ধে যেতে রাজি আছেন। তিনি নিয়মিত বিভিন্ন অনুশীলন এবং শরীরচর্চার মধ্যে এখনো নিজেকে ঠিক রেখেছেন। কারগিল যুদ্ধে সরাসরি যুক্ত ছিলেন কালনার কোয়াল ডাঙ্গার বাসিন্দা নরেশ বাবু। কারগিল স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে চোখের কোনে জল চলে আসে নরেশ বাবুর। ভারাক্রান্ত তিনি জানালেন, চোখের সামনে নয় জন সহযোগি যোদ্ধাকে পাকিস্তানের গোলা বর্ষণে একসাথে শহীদ হতে দেখেছেন। সেই দিন অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়ে গেছিলেন তিনি। কিন্তু তার নয় জন সহযোগীকে হারাতে হয়েছিল তাকে। আর তাই ভারতের জন্য আজ কি ডাকলে তিনি সরাসরি যুদ্ধে নামতে প্রস্তুত। তিনি এদিন আরো বলেন কারগিল যুদ্ধ ছিল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই। আর বর্তমান পরিস্থিতি রয়েছে ভিন্ন এটি চলছে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই। শুধু কারগিল যুদ্ধই নয়, ভারতের আরও তিনটে যুদ্ধে তিনি সৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন। জানা যায় তার এই সাফল্যে গর্বিত তার গোটা গ্রাম। মধ্যেই তার জীবন্ত অবস্থাতেই গ্রামবাসীরা বসিয়েছেন তার মূর্তি। গ্রামে তৈরি হয়েছে কারগিল স্মৃতিসৌধ। তিনি বলেন, ভারত মাতার জন্য তার মন এখনো কাঁদে আর তাই দেশের সংকটজনক এই পরিস্থিতিতে যে কোন মুহূর্তে তাকে ডাকলে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত বছর “৬২ -র নরেশ চন্দ্র দাস।