ভাড়াটে ও বাড়িওয়ালার ঝামেলায় আহত চার মহিলা ।
অভিযোগ ভাড়াটে চিকিৎসক ও স্থানীয় কাউন্সিলারের ছেলেদের বিরুদ্ধে । অভিযোগ অস্বীকার কাউন্সিলার ও ভাড়াটে চিকিৎসকের। ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের এম.ডি.রোডে । ১৯৬২ সাল থেকে চেম্বার চালাতেন ডাঃ মহঃ আমিন । তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ছলে ডাক্তারি পাশ করে ১৯৮৭ সাল থেকে বাবার সেই চেম্বারে বসেই রোগীদের চিকিৎসা করতেন ডা: মহ: ফৈয়াজ কায়সার । গত চার বছর ধরে বাড়িওয়ালার সাথে ভাড়া নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় ভাক্তার বাবুর । বাড়িওয়ালার অভিযোগ ডাক্তার বাবু গত চার বছর ধরে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছেন না । এই নিয়ে সমস্যা তৈরি হয় এবং তা আদালত পর্যন্ত পৌছোয় । তারপর দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঘড় ছেড়ে দিতে রাজী হলে ডাক্তারবাবুকে দুই লক্ষ টাকা দেন বলে জানান বাড়িওয়ালার মেয়ে রশ্মি শেঠ । কিন্তু দুই লক্ষ টাকা দেবার পর ও চেম্বার না ছেড়ে শুক্রবার সকালে টিটাগর পৌরসভার ৫ নম্বর ওর্য়াডের তৃণমূল কাউন্সিলার বিষ্ণু সিং কে নিয়ে আসেন ডাক্তারবাবু । এবং কাউন্সিলার বিষ্ণু সিং জানান শুক্রবার বিকেলে আলোচনায় বসবেন তিনি । কিন্তু কাউন্সিলার না এলেও শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা টিটাগর পৌরসভার ৫ নম্বর ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মহ: রিয়াজউদ্দিন ওরফে আরমান মন্ডলের প্রায় একশোজন ছেলে তাদের বাড়িতে চড়াও হয় এবং মারধোর করে । সেই মারধোরে বাড়িতে থাকা চার মহিলা আহত হয়েছেন । আহত দুই মহিলা ব্যারাকপুর ডাক্তার বি.এন.বসু মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করান । যদিও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কাউন্সিলার বিষ্ণু সিং এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি বা তার দলের কেউ এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয় । পুলিশ তদন্ত করছে যারা দোষী তারা শাস্তি পাবে । একই ভাবে ভাড়াটে ডা: মহ: ফৈয়াজ কায়সার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি এখনো রেন্ট কন্ট্রোলে ভাড়া দিচ্ছেন । তিনি এই নিয়ে নিজেই আদালতের দারস্থ হয়েছেন । এবং তিনি বলেন তার বাড়িওয়ালা দু লক্ষ টাকা দেবার মিথ্যা কথা বলছে । এবং তাকে জোর করে চেম্বার বন্ধ করার জন্য তার চেম্বারে ভাঙচুড় চালিয়েছে ও সমস্ত জিনিস বাড়ির বাইরে বার করে দিয়েছে বাড়িওয়ালা ।
দুপক্ষের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে টিটাগড় থানার পুলিশ।