ভিনদেশের সংস্থা থেকে মিলবে মোটা টাকা,চক্রে পা বাড়িয়ে প্রতারণা ও লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ চাঁচলে
ভিনদেশের সংস্থা থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠলো এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।অভিযুক্ত প্রতারক ব্যক্তির বাড়িতে টাকা ফেরত চাইতে গেলে এক মহিলা এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।শনিবার মালদহের চাঁচলের আদর্শপল্লীর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।মারধর করে বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যায় ওই প্রত্যারক ফারুক প্যাটেল বলে অভিযোগ।তারপরেই প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে প্রতারকের বাড়ির দরজায় ধর্নায় বসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মিলনগড়ের ওই মহিলা রহিমা পারভীন।উল্লেখ্য,মোটা অঙ্কের টাকা পাইয়ে দেওয়ার নামে গতবছর জানুয়ারি মাসে একটি ব্যাঙ্কের শাখা খুলে গ্রাহকদের থেকে ৫৩০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বই করার টাকা নেন ফারুক প্যাটেল বলে অভিযোগ।
বলা হয়েছিল এই একাউন্ট খুললে এলাকার গরীব দুস্থরা পাবে তিন দফায় এক লক্ষ কুড়ি হাজার ।এবং এককালীন দুই হাজার করে ভাতাও পাওয়া যাবে।এই ফাঁদে পা বাড়ান চাঁচল মহকুমার হাজার হাজার অসহার খেঁটে খাওয়া মানুষ।এই চক্র চলছে গত দেড় বছর ধরে।একাউন্ট খোলার ৪২ দিনের মাথায় প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।কিন্ত দেড় বছর কেটে গেলেও একাউন্টে ঢুকেনি কোনো টাকা বলে দাবি।চাঁচলের গোরক্ষপুরে এই চক্র চলছিল একটি নির্দিষ্ট বাড়িতে।শুধু সেখানে নয়,বিভিন্ন জায়গাই প্রতিষ্ঠান করা হয়েছিল এই প্রতারণার চক্র অফিস।গ্রাহকদের জোগাড় করার জন্য ব্লক ব্লকে ছড়িয়ে ছড়িয়ে রাখা হয়েছিল প্রায় ৫০০ জন এজেন্ট।
শুধু গ্রাহকরা নয়,ফারুক প্যাটেলের কাছে প্রতারিত হয়েছে তার এজেন্টরাও।হরিশ্চন্দ্রপুরের মিলনগড় গ্রামে গ্রাহকরা মহিলা এজেন্ট রহিমা পারভীন কে টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে।সেই চাপে রহিমা মূল প্রতারক ফারুক প্যাটেলের বাড়িতে টাকা চাইতে আসলে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।এমনকি রহিমার ব্যাগ ছিড়ে ফারুক নিজের বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যায়।তারপরেই এদিন টাকা ফেরতের দাবিতে প্রায় এক ঘন্টা ধরে ধর্নায় বসেন ফারুক প্যাটেলের বাড়ির দরজায়।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার পুলিশ।পুলিশের আশ্বাসে রহিমা ধর্না তুলে নেন।হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চাঁচল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত রহিমা।
শুধু রহিমা নয় এদিন ফারুক প্যাটেলের বাড়ির আশেপাশে ছিল বহু প্রতারিত এজেন্ট।তার সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি।
বাড়িতে তালা থাকায় ও বারবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও ফারুক প্যাটেলের প্রতিক্রিয়া পায়নি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা।চাঁচল থানায় আই.সি পুর্ণেন্দু কুন্ডু জানিয়েছেন,অভিযোগ পেয়েছি,বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।