উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে আশ্চর্য ঘটনা। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন এক মহিলা। জানা গিয়েছে তিনি আদপে পাকিস্তানের বাসিন্দা এবং তিনি ভুয়ো নথি দিয়ে স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন। বাসস্থানের প্রমাণপত্র হিসেবে ভুয়ো নথি দিয়েছিলেন তিনি। তদন্তে এই অপরাধ ধরা পড়ার পরে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এই মামলা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের শিক্ষা দফতর মানুষের রোষের মুখে। তীব্র সমালোচনা হচ্ছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, ভুয়ো নথি দিয়ে একজন ৯ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন তা টেরও পেলেন না প্রশাসনিক মহলের কেউ ?
২০১৫ সালের ৬ নভেম্বর সুমাইলা খান নামের এক মহিলা উত্তরপ্রদেশের বেরিলির একটি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করতে শুরু করেন। রামপুর থেকে তিনি একটি ভুয়ো রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছিলেন। আর সেই নথি দেখিয়েই নির্বাচিত হন তিনি, আর তার ফলে পশ্চিম ফতেহপুরে মাধোপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পোস্টিং হয় তাঁর।
সম্প্রতি বেরিলির জেলা শাসক গোপনসূত্রে একটি অভিযোগ পান, আর এর জেরেই তদন্ত শুরু হয়। এই তদন্তের ফলে রামপুর সদরের এসডিএম সুমাইলা খানের রেসিডেন্স সার্টিফিকেট বাতিল করে দেন। আর রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রক তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সুমাইলা খানের আসল নাম ফারকানা খান। তিনি আদপে পাকিস্তানের বাসিন্দা। উত্তরপ্রদেশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি, আর সেখানেই দীর্ঘ ৯ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন তিনি। সরকারি নিয়ম মেনে এর আগে বহুবার সুমাইলা খানের নথি পরখ করে দেখা হয়েছে প্রশাসনিক তরফে, কিন্তু কোনোবারই সমস্যায় পড়েননি তিনি। কিন্ত গোপন সূত্রে আসা অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই শিক্ষা দফতর তৎপর হয়ে ওঠে এই বিষয়ে। পশ্চিম ফতেগঞ্জ থানায় তাঁর নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে এই মহিলা ফারকানা খানের মা ফরজানা খানও উত্তরপ্রদেশের বেরিলির কুমারিয়া কলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। মাহিরা আখতার নামেই তার পরিচয় ছিল। সুমাইলা খানের মতই তার মায়ের চাকরিও ৩ বছর আগে চলে গিয়েছিল। একইভাবে ভুয়ো নথি দিয়ে ৩০ বছর ধরে চাকরি করছিলেন তিনি।