ভূস্বর্গে বেড়াতে গিয়ে পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় পর্যটকরা।যারা ভূস্বর্গ দেখতে গেছেন তাদের অনেকেই বরাত জোরে বেঁচেছেন।সেসময় ঘটনাস্থলে থাকলে হয়ত হামলার শিকার হতে হত তাদেরও।তাই তাদের পরিবার বলছে,পয়সা খরচ করে গুলি খেতে যেতে চাই না।জানা যায় কাশ্মিরে জঙ্গি হানায় প্রায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন। সেই ভয়াবহতার আতঙ্কে প্রায় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে হুগলির কেওটা টায়ারবাগানের বাসিন্দা চঞ্চল দের পরিবার।চঞ্চল বাবু কুন্তিঘাটের একটি স্কুলের শিক্ষক। স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে গত ১৬ তারিখে কাশ্মিরে বেড়াতে গিয়েছিলেন।২৮ তারিখ তাদের ফেরার কথা ছিল। পরিবার সহকর্মি নিয়ে মোট এগারো জন গিয়েছিলেন কাশ্মিরে।২২ তারিখে দুপুরে পহেলগাঁও এ পৌঁছান তারা।বৈসারন ভ্যালিতে জঙ্গি হামলা হয় সেখান থেকে ষোলো কিমি দূরের হোটেলে ছিলেন তারা।গাড়িতে করে ঘুরতে বেরোচ্ছিলেন।তখন অনেকে বলল হেটেলে ফিরে যেতে।গাড়ি করে ফেরার সময় দেখেন প্রচুর অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে।সেনা বাহিনীর গাড়ি দেখে সবাই ঘাবরে যান।রাস্তায় জ্যাম হয়ে গিয়েছিল।ঘন্টা খানেক পর তারা হোটেলে পৌঁছান কিন্তু তাদের ছেলে এইসব দেখে প্রচন্ড ঘাবরে যায়এবং বার বার প্রশ্ন করতে থাকে,কি হয়েছে এত আর্মি কেন? তাকে বোঝানো হয়।তারা কি করবেন বুঝে উঠতে পারেন না।গোটা অঞ্চল সেনা বাহিনী ঘিরে ফেলে এবং রাস্তায় চেকিং চালানো হয়। শ্রীনগর কখন পৌঁছাবেন জানেন না।টেলিফোনো জানান চঞ্চল দে।
চঞ্চল বাবুর দাদা তাপস দে ও বৌদি বাসন্তি দে বলেন,গতকাল জঙ্গি হামলার খবর জানতে পেরে ফোন করেছিলাম খুব চিন্তা হচ্ছিল।কোথায় আছে কেমন আছে ভাবনা হচ্ছিল।ছোটো বাচ্চা নিয়ে গেছে তাই চিন্তা আরো বেশি হচ্ছিল।আজ সকালে কথা বলে কিছুটা স্বস্তি মেলে।
চঞ্চল আগে অনেকবার কাশ্মির গেছে।তবে আমি পয়সা খরচ করে কোনোদিন গুলি খেয়ে মরতে যাবো না,বলেন বাসন্তি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − thirteen =