হাওড়ার বাঁকড়া জঙ্গিকাণ্ডের মামলায় বাঁকড়া থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে এদিন মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়।গত মাসের ২৯ তারিখে জাহিরুদ্দিন আলী ও জৈন আল আবেদীন এই নামে দুজনকে হাওড়া আদালতে নিয়ে আসে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।ধৃতদের বিরুদ্ধে ডোমজুড় থানাতে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল সেই মামলার হাজিরা দিতেই এই দুই জঙ্গীকে নিয়ে আসে এসটিএফের টিম। ওই দুই জঙ্গীর বিরুদ্ধে ভারতীয় অপরাধমূলক দন্ড বিধির ১২০ বি /১২১/১২১এ/১২৪ এ/১২৫/৪৬৮/৪৭১/১৬/১৭/১৮ বি/১৯/২০/৩৮ ধারাগুলোতে মামলা লাগু করেছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, হাওড়ার বাঁকড়া ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত আরও দুই জঙ্গির সন্ধান পায় রাজ্য এসটিএফের টিম।নির্দিষ্ট সূত্র ধরে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ভূপাল থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য এসটিএফ।ভূপাল পুলিশের সহায়তায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সদস্যরা।গত মাসের ২৯ তারিখ তাঁদেরকে ট্রানজিৎ রিমান্ডে রাজ্যে নিয়ে আসে।এই দুই জঙ্গি নিজের নাম পরিবর্তন করে বিভিন্ন নাম নিয়ে থাকতো বলেই তদন্তকারী আধিকারিক সূত্রে জানা যাচ্ছে।তদন্ত করতে নেমে তারা জানতে পারে, এই দুই জঙ্গি ডোমজুড় থানা এলাকাতে ঘর ভাড়া করে থাকতো।এরপর তাঁদের সন্ধান শুরু করে জানতে পারা যায় তারা মধ্যপ্রদেশের ভোপালে গা ঢাকা দিয়ে আছে।বিভিন্ন সময়ে নানান নাম বদল করে তারা রয়েছে।জাহিরুদ্দিন আলী ওরফে এলিয়াস মোহন পাত্র, হোলি উল্লা মিলন, এলিয়াস ইব্রাহিম, দ্বিতীয় জন জৈন আল আবেদীন ওরফে আক্রামুল হক এই দুই জনকে ১২ দিনের এসটিএফের হেফাজতে আনা হয়।
এই দুই ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে ইউপি আইন অনুযায়ী মামলা চালানো হচ্ছ। ডোমজুড় মামলাতে মোট চারজন অভিযুক্ত ছিল।যার মধ্যে একজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়।একজন পলাতক রয়েছে।তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।এই দুইজন ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্ধান পাওয়া যায়।এদিন আদালতে দুজনকে পেশ করা হলে বিচারক ধৃতদের ১২ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেন।যে পলাতক রয়েছে তাকেও দ্রুত গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।কয়েক মাস আগেই হাওড়ার বাঁকড়া থানা এলাকা থেকে দুই খেপে দুজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা এসটিএফের সদস্যরা। এদের মধ্যে একজন স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিল। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই দুই জঙ্গির সন্ধান পায় এসটিএফের সদস্যরা। ধৃতদের থেকে রাজ্যে জঙ্গি সংগঠন সহ বাংলাদেশী জেএমএম, আল জাজিরা ও সদ্য নিষিদ্ধ হওয়া পিএফআই সংগঠনের যোগাযোগ আছে বলেই এসটিএফ সূত্রে খবর। এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।