ভোররাতে ভাঙলো বাঁধ মালদার মানিকচকের ভূতনি কেশবপুর এলাকায়। প্রায় তিনটি গ্রামের মানুষ জলবন্দী। ৫০ মিটার এলাকা দিয়ে রবিবার ভোররাত থেকে জল ঢুকছে ভূতনি এলাকায়। ইতিমধ্যে কেশবপুর, রতনপুর ও চামা গ্রামের বাসিন্দারা জলবন্দী। বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। প্রশাসনের তরফে জল আটকানোর কোন প্রচেষ্টাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ইতিমধ্যেই এলাকায় পৌঁছেছেন দক্ষিণ মালদা বিজেপি সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মন্ডল। এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলেন তিনি।
রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দেন। তিনি জানান, কেন্দ্র কোটি কোটি টাকা দিলেও রাজ্য সরকার কোন কাজ করছে না। কাজের নামে শুধুমাত্র লুটপাট চলছে। শুধুমাত্র বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা ভাঙন আটকানো যাবে না। বর্ষার মরসুমে শুধুমাত্র গঙ্গা ভাঙন রোধের কাজ শুরু হয় এবং কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় এমনটাই অভিযোগ করেন তিনি। কেন্দ্র সরকারকে কাজের কোন রিপোর্ট করা হয় না। অন্যদিকে তিনি জানান, গঙ্গায় এত বড় বড় ব্রিজ হচ্ছে তবে ভাঙ্গন রোধ কেন করা যাবে না। সদ ইচ্ছা থাকলে ভাঙন রোধ সম্ভব। রাজ্য সরকারের নিচু তলা থেকে উপরতলা সকলেই কাটমানিতে যুক্ত। ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।