মহাষ্টমীর সকাল,মায়ের কাছে অঞ্জলি দেওয়ার পালা।
মহাষ্টমীর সকাল মানেই অঞ্জলি মণ্ডপে মণ্ডপে। নতুন জামাকাপড় পরে সেজে গুজে মায়ের অঞ্জলি দেবে বাঙালি।অষ্টমী পুজোয় অনের নিয়ম-কানুন আছে। অষ্টমীতে হয় কুমারী পুজো। এদিন, বেলুড়মঠে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। অষ্টমীর দিন বিকেলে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট । মোট ৪৮ মিনিট ধরে সন্ধিপুজো অনুষ্ঠিত হয়। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে যেহেতু এই পুজো হয়, তাই এই পুজোর নাম সন্ধিপুজো। সন্ধিপুজোর সময় দেবীর পায়ে ১০৮টি লাল পদ্ম উৎসর্গ করা হয়। পাশাপাশি ১০৮টি প্রদীপও জ্বালানো হয় ।অনেক বাড়ির পুজোয় সন্ধিপুজোর মাহেন্দ্রক্ষণে বলিদান দেওয়া হয়। কোনও কোনও জমিদার বাড়িতে তোপ দেগে সন্ধিপুজো শুরু করার নিয়ম রয়েছে।
দুর্গাপুজোর অষ্টমী নিয়ে একটা আলাদাই উন্মাদনা রয়েছে বাঙালির । এদিন, সকাল সকাল স্নান সেরে নতুন জামা-কাপড় পরে অঞ্জলি দেয় ছোট থেকে বড় সকলেই ।তবে, অষ্টমীর আরও একটা আকর্ষণ হল পুজোর ভোগ।সে বারোয়ারী পুজো হোক আর বনেদি বাড়ি ,সকালে উপোসের পর গরম গরম ভোগের খিচুড়ির স্বাদ যেন অমৃত।
তবে, অষ্টমীর ভোগ মানেই যে খিচুড়ি, তা কিন্তু নয় । বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নিয়ম । যেমন, জমিদার বা বনেদি বাড়ি গুলিতে কোথাও মাকে অষ্টমীর দিন খিচুড়ি, পাঁচরকম ভাজা, লাবড়া, আলুরদম দেওয়া হয়…সঙ্গে মিষ্টি তো থাকেই । আবার কোথাও থাকে পোলাও, ছানার ডালনা, পনির ইত্যাদি । অনেকে আবার এদিন মাকে চালের জিনিস দেন না। তাঁদের ভোগে থাকে লুচি। মূলত, অষ্টমীতে নিরামিষ ভোগই দেওয়া হয় মাকে। মায়ের পুজোর পর পাত পেড়ে ভোগ খায় বাঙালি।