কয়েকটা দিন তারপরেই মাধ্যমিক পরীক্ষা।পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রেসিডেন্ট রামানুজ গাঙ্গুলি প্রেস কনফেরেন্স করে জানান, প্রস্তুতি কমপ্লিট। প্রতিটা জেলা ভিজিট করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং করে স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা আধিকারিক যারা পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে।মূল উদ্দেশ্য, সুস্থভাবে সুষ্ঠু পরিবেশে এবং সামগ্রিকভাবে যাতে ব্যবস্থা ভালো থাকে তার প্রচেষ্টা করা।এবার পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে নতুন ইন্ট্রোডিউস করা হয়েছে যেগুলো মূলত, কোনরকমভাবে যাতে পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নপত্রের ছবি বাইরে না যায় তার একটা প্রচেষ্টা থাকার জায়গায় আছে।ব্যবস্থাগুলোর ডিটেলস ইনস্ট্রাকশন ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এবার পরীক্ষা কেন্দ্র ২৮৬৭ টি,মোট পরীক্ষার্থী ৬৯৮৬২৮।গতবার ছিল ১০৯৮৭৭৫ জন , ছাত্র ২৯০১৭২ জন , ছাত্রী ৩৫৬০২১ জন , সিসি ৪৯৬২৪ জন ও কমপার্টমেন্টাল ২৮১১ জন । হেড পরীক্ষকদের সংখ্যা ১১৫৩ জন এবং পরীক্ষকদের সংখ্যা ৪০৩৫৩ জন।
আগামী ২৩ তারিখ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে,২৭ তারিখের পরীক্ষা পরিবৰ্তন হয়েছে নির্বাচনের জন্য।পরীক্ষা হবে ১ লা মার্চ তারিখ। এবার ভেনুতে প্রথমবার পুলিশ থাকছে।তিনি আরো জানান,এর সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডিশনাল ভেনু সুপারভাইজারকে দিয়ে যাতে রিয়াল টাইম আমরা সারাক্ষণ খবর পাই বা ভেনুকে জানাতে পারি তার জন্য আমরা অ্যাডিশনাল ভেনু সুপারভাইজারকে অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করার যে ব্যবস্থা করেছি।যার মাধ্যমে আমরা ঠিক সময় ইনফরমেশন পাব ঠিক সময় লোক এসে পৌঁছেছে কিনা, প্রশ্ন এসে পৌঁছলো কিনা, এক্সামিনার এসে ঢুকলো কিনা, সুরক্ষা কর্মী ,স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিক সময় ঢুকলো কিনা সমস্ত তথ্য সেখান থেকে আদান-প্রদান হবে।
সকাল আটটা থেকেই ইনফরমেশন আদান-প্রদান শুরু হবে।ইতিমধ্যেই ২১ টি জেলায় প্রশ্নপত্র পৌঁছে গেছে আর তিনটি জেলায় দেওয়ার কাজ চলছে।ভেনুতে কোন অবিভাবক ঢুকবে না।এটা করার মূল কারণ হলো প্রথম দিনেই যতরকম সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা প্রথম দিনেই হয়েছে। প্রথম দিনেই প্রায় দু ঘন্টার মতো ভেনুতে গার্জিয়ানরা ঢুকে থেকে যান।সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করা বা পর্যবেক্ষণ করা কারোর পক্ষে সম্ভব নয়।সেটাকে মাথায় রেখেই আমরা যেটা করেছি ,প্রতিটি ভেনুতে বাইরে এবং ভেন্যুর ভেতরে ডিসপ্লের ব্যবস্থা করে রাখছি যাতে ছাত্রছাত্রীদের কোনরকম হল অ্যালটমেন্ট বা হল খুঁজতে সমস্যা না হয় সেই ইনস্ট্রাকশন দেওয়া আছে। ছাত্র-ছাত্রীদের কি করনীয় না করণীয় সেটাও পোস্টার আকারে স্কুলগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।স্কুলে লাগানো থাকবে যাতে অ্যাডমিট কার্ডগুলো যখন নিতে যাবেন সেই সময় সেই ইনস্ট্রাকশন দেখতে পারবেন।
ঘরে ঢোকার যে মূল প্রবেশদ্বার সেখানে সিসিটিভির সামনে সন্দেহজনক মনে হলে তাদেরকে চেক করা হবে। চারজনকে মোবাইল নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মী তাদের মোবাইল সুইচড অফ থাকবে এমারজেন্সি কিছু হলে তখন অন করবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকাতে যে ছাত্রছাত্রীরা আগে খাতা জমা দিয়ে বেরোতে চাইবে তাদের ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র জমা দিয়ে বেরোবে। প্রশ্নপত্র নিয়ে বেরোতে পারবে না।টয়লেটগুলোকে সিকিউর করতে বলা হয়েছে ,করিডোরে সিসিটিভি লাগানো থাকবে , এন্ট্রি এবং এক্সিটে সিসিটিভি লাগাতে বলা হয়েছে এবং পুলিশকে ভেতরে রাখা হয়েছে সারভাইলেন্সের জন্য।