মা কালীকে মাথায় নিয়ে দৌড়চ্ছে ভক্তরা। রাজার প্রচলিত রীতি মেনে মালদার চাঁচলের মালতীপুরে আয়োজিত হলো ঐতিহ্যবাহী কালী দৌড় প্রতিযোগিতা। মালদার চাঁচলের ৩৫০ বছরের রীতি আজও জনপ্রিয়। মালতিপুর এলাকার আটটি কালী প্রতিমাকে কাঁধে নিয়ে ছুটেন এলাকাবাসী।
কালী দৌড় প্রতিযোগিতাকে ঘিরে রচিত হয় সম্প্রীতির এক আশ্চর্য আবহ। তবে রীতির পিছনে লুকিয়ে আছে এক ইতিহাস, দৌড়ে নিয়ে যাওয়ার পর যাদের কালী প্রতিমা অক্ষত অবস্থায় থাকবে, তাদের প্রতিমাকেই প্রথমে বিসর্জন দেওয়া হবে। নিজেদের পূজিত কালী প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে ঘাটের দিকে দৌড় লাগান উদ্যোক্তারা। রাজার প্রচলিত সেই রীতি মেনেই এখনও মালদার চাঁচলের মালতিপুরে আয়োজিত হয় ঐতিহ্যবাহী কালী দৌড় প্রতিযোগিতা।এবারও যার অন্যথা হল না।শুক্রবার রাতে কালী দৌড় প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে তৈরি হল এক অদ্ভুত পরিবেশ।পরিস্থিতি সামাল দিতে উপস্থিত ছিলেন চাঁচলের এসডিপিও সোমনাথ সাহা ও চাঁচল থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুণ্ডু সহ পুলিস বাহিনী। আমকালীর বিসর্জনের পর হ্যান্টা,বাজার,শ্যামা,বুড়ি,হাট,চনকা কালী সহ আটটি প্রতিমার দৌড় হয়। ছিলেন মালতীপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বকসিও।দুই কালীর মুখোমুখি হওয়ার মুহুর্তে শঙ্খ ধ্বনি উলু দেন ভক্তরা।চাঁচল মহকুমার কয়েকহাজার মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।