গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। যদিও স্বামী সেই অভিযোগ অস্বীকার করছে এবং জানিয়েছে আত্মহত্যা করেছে তার স্ত্রী। স্বামী এবং তার পরিবারের নামে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের। ঘটনার জেরে তুমুল চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামপুর দাসপাড়া এলাকায়।মৃতার স্বামী পরিযায় শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে কর্মরত। দুইদিন আগেই বাড়ি ফিরেছিল নারায়ন।পরিবার সূত্রে জানা যায়,টাকা নিয়ে ভাই-বোনদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। আর তার মধ্যেই গতকাল শনিবার রাত্রে নারায়ণের স্ত্রী তুলসী দাসের মৃত দেহ পাওয়া যায় তার শোয়ার ঘর থেকে। সেই মৃতদেহ সেই সময় গলার দড়ি কেটে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ তার পরবর্তীকালে হাসপাতালে আসে।
খোদ নারায়ণ দাসের এক বোন অভিযোগ করছে নারায়ণ দাসই খুন করেছে তার স্ত্রীকে। তার ভাই তার উপর মিথ্যা আরোপ লাগিয়েছিল টাকা চুরি করার। কিন্তু তুলসী দাসের সঙ্গে তার কোন রকম বিবাদ ছিল না। এমনকি সে কার্যত দাবী করে বলছে তার ভাই খুন করেছে স্ত্রীকে। মৃত গৃহবধূ তুলসী দাসের বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে সমগ্র পরিবারের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খুনের। অভিযোগ দায়ের হতেই স্বামী নারায়ণ দাস কে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। কিন্তু নারায়ন দাসের পাল্টা দাবি সে তার স্ত্রীকে খুন করেনি এবং তার সঙ্গে তার স্ত্রীর কোন সমস্যা ছিল না। তার বোনের সঙ্গে তাদের টাকা নিয়ে বিবাদ চলছিল। সেই নিয়ে তার স্ত্রী চিন্তিত ছিল। পুলিশ মৃতদেহ মালদা মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।