প্রতিবছর সামাজিক বিভিন্ন কারণে শিশুদের হাসপাতাল বা রাস্তায় ফেলে নিখোঁজ হয়ে যান তাদের মা। খোঁজ পাওয়া যায় না পরিবারেরও। এই জেলার ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা ১০ থেকে ১২ জন প্রতিবছর থাকে। সেই সব শিশুদের সমাজকল্যান দপ্তরের আধিকারিকেরা সরকারি হোমে যত্ন সহকারে রেখে বড় করে। এরপর এইসব অনাথ শিশদের জন্য নতুন পরিবারের খোঁজ করেন। সন্তানহীন দম্পতিরা যদি এই সব শিশুদের দত্তক নেওয়ার আগ্রহী হয়, তবে সরকারি নিয়মে সন্তানহীন দম্পতিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুদের। সেই মতো মালদায় জেলা শাসকের নির্দেশেই দুই শিশু কন্যাকে দত্তক নিলেন দুই দম্পতি। একজনের বয়স প্রায় ৯ মাস এবং অপর জনের বয়স প্রায় ২ বছর। দুইজনই শিশুকন্যা তাদের স্থায়ী ঠিকানা ছিল মালদা জেলা সমাজকল্যান দপ্তরের অধীনস্ত আবাসন। সমাজকল্যান দপ্তরের আধিকারিকেরা ছিলেন তাদের পরিবার। তবে আজ থেকে সেই স্থায়ী ঠিকানার পরিবর্তন হল। এই দুই শিশুকন্যা খুঁজে পেলেন তাদের বাবা মা ও পরিবার। এতদিন আদালতে আবেদনের মাধ্যমে শিশু দত্তক নেওয়ার প্রথা ছিল। এখন জেলাশাসকের নির্দেশেই শিশু দত্তক নেওয়া যাবে। পাশাপাশি গত ১০ বছরে এমন ১৫৬ জন শিশুকে মা ও বাবা খুঁজে দিয়েছেন জেলার সমাজকল্যান দপ্তরের আধিকারিকেরা।