এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাস বলছে লখনউ সুপার জায়ান্টস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (LSG vs MI) টুর্নামেন্টে মোট পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে চারবার জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কে এল রাহুলের দল। অন্যদিকে একবার মাত্র জয় পেয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যর দল। গত বছর চিপকে এলিমিনেটরে লখনউকে একমাত্র হারাতে পেরেছিল মুম্বই শিবির। সেবার অবশ্য অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মা।
চলতি মরশুমে ঘরের মাঠে শেষ ম্য়াচ মুম্বইয়ের। এই ম্য়াচ দিয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই। এবার দল গঠন, অধিনায়ক নির্বাচন, হার্দিক পাণ্ড্যকে দলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সব নিয়ে বারবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে মুম্বই শিবিরকে নিয়ে। যার পারফরম্য়ান্স মাঠেও পড়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩ ম্য়াচ খেলে মাত্র চারটি জয় পেয়েছে এই দলটি। একমাত্র যশপ্রীত বুমরার পারফরম্য়ান্স ছাড়া আর কোনও ইতিবাচক দিকে এবার মুম্বই শিবিরের ছিল না। ব্যাট হাতে সূর্যকুমার যাদবের পারফরম্য়ান্স অবশ্য আশাব্যঞ্জক। তবে চিন্তার বিষয় রোহিত শর্মা ও হার্দিক পাণ্ড্যর পারফরম্য়ান্স। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ও সহ অধিনায়কের পারফরম্য়ান্স চিন্তার কারণ।
লখনউ সুপারজায়ান্টস অন্যদিকে শুরুতে জয়ের রাস্তায় ছিল। দলের পেস ব্যাটার ময়ঙ্ক যাদব যে তিনটি ম্য়াচে খেলেছিলেন, সেই ম্য়াচগুলোতে জয়ও ছিনিয়ে নিয়েছিল লখনউ। তবে দলের ব্যাটিং লাইন আপে অতিরিক্ত নিকোলাস পুরাণের ওপর নির্ভরতা সমস্যা বাড়িয়েছে। কে এল রাহুল ব্যাট হাতে রান পেলেও স্ট্রাইক রেট একটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সঞ্জীব গোয়েঙ্কা বিতর্ক দলের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও নষ্ট করেছে। তবে শেষ ম্য়াচে অতীতের কোনও কিছু নিয়ে নয়। একটা মিরাক্যাল আর বড় জয়, ওয়াংখেড়েতে রোহিত-রাহুল দ্বৈরথের জন্য কিন্তু উত্তেজনা বাড়ছে।