যশের দাপট,লন্ডভন্ড মৌসুনি দ্বীপ।
চারদিকে শুধু জল আর জল। ডুবে আছে ঘরবাড়ি,চাষের জমি,পুকুর।বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণবঙ্গের চিত্রটা এখন কিছুটা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে।অভাবী মানুষগুলোর সংসারের শেষ রসদটুকুও মিশে গিয়েছে জোয়ারের ঘোলা জলে।দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পর আবার নতুন করে বাঁচার লড়াই শুরু করেছে কেউ কেউ।কেউ কেউ আবার করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঠাঁই মেলেনি ত্রাণকেন্দ্রে।ভেঙে যাওয়া বাড়ি মেরামতে হাত লাগিয়েছেন অনেকেই।কিন্তু প্রত্যেকের ঘরে খাবার বাড়ন্ত। সুন্দরবনের মৌসুনি দ্বীপের চিত্রটা এইরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সবইতো গিলে নিয়েছে ওই রাক্ষুসে নোনা জল।অনেকে আবার অনাহারে দিন কাটাতে।অনেকের বাড়ির চুলো জ্বালনোর মতো অবস্থা নেই।পানীয় জলের হাহাকার সর্বত্র।জল নামা শুরু হতেই চারিদিক থেকে বেরিয়ে আসছে ধ্বংসস্তুপের ছবি।মরা মাছ,গাছপালা পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়।চারিদিক জুড়ে শুধু হাহাকারের ছবি।বছরের বেশ কয়েকবার কোটালের জলে প্লাবিত হয় এই দ্বীপ। কিন্তু এবার ঝড় আর ভরা কোটালের জোড়া ফলার অভিঘাত অতীতের কয়েকগুণ বেশী।সরকারি সাহায্যের আশায় দিন কাটছে মৌসুনি বাসীর।