BJP সমর্থক ‘খুনে’ উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। দফায় দফায় বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের।আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একাধিক দোকানে।পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ পুলিশের।আর এরপরেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী।এরপর মহিলা বিজেপি কর্মীর খুনের অভিযোগে নন্দীগ্রাম থানায় পৌঁছলেন তিনি।পুলিশের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু। ‘IC-কে মজা দেখাচ্ছি’, হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও ধমক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।শুভেন্দু বিস্ফোরক অভিযোগ করে বলছেন,যে খুন করেছে কিছুক্ষন আগে সেই IC র সাথে মিটিং করেছে।
এদিন থানায় ঢুকে শুভেন্দু বলেন, আপনি এই মাত্র খুনীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যে খুন করেছে সে কিছুক্ষণ আগে এসে আইসি-র সঙ্গে মিটিং করেছে। ‘ যদিও ওই পুলিশ কর্মী চুপ থাকেননি। বলতে শোনা যায়, ওনারা সম্মানীয় জন প্রতিনীধি।’ তবে নিজের কথাতেই অনড় থাকতে দেখা যায় শুভেন্দুকে। কেন ওই পুলিশকর্মী মিটিং করেছেন তাঁদের সঙ্গে , প্রশ্ন তোলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর সংযোজন, তপশীলি জাতি (SC) উপভুক্ত পরিবারকে বাবাসাহেব আম্বেদকর নিরাপত্তা দিয়েছিলেন। SC দের খুন করছে তৃণমূলের গুন্ডারা। মেরে ফেলল। হাসপাতালে ৭ জন। পুলিশ আপনাদের এখানে রেখেছে? আপনারা MHA থেকে এসেছেন। পিটিয়ে তাড়িয়ে দিন এদের। সংবিধানের শাসন ভেঙে পড়েছে। পুলিশ আর টিএমসি এক। এরা সব টিএমসির ক্যাডার।
এদিন সেন্ট্রাল ফোর্সকে দেখে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনাদেরকে এখানে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। ব্যবহার করছে না। আর হিন্দুকে খুন করছে। এসসি-কে খুন করে দিয়েছে। ৫৬ বছরের মহিলা। এটা তৃণমূলের অফিস।আপনারা কাশ্মীরকে সোজা করে দিয়েছেন। দয়া করে বাংলাকে সোজা করে দিন। আমার তফশিলি মা-কে শেষ করে দিয়েছে রথীবালা আড়ি, ৫৬ বছর বয়স। এসসি, দলিত মহিলা। উনি মোদিজির সাপোর্টার এইজন্য। আপনারা হেডকোয়ার্টারে কথা বলুন। ডিআইজি-র সঙ্গে কথা বলুন, সিইও-র সঙ্গে কথা বলুন। এরিয়ার পজিশন নিন আর গুন্ডাদের তাড়ান।’